রোহিঙ্গা সংকটে দুই বছর সমাধান কার হাতে।
টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
দুই বছর আগে মিয়ানমার থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন। জাতিসংঘ যেটাকে জাতিগত নিধনের উদহারণ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
কক্সবাজারের বিভিন্ন শরনার্থী শিবিরে রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। মিয়ানমার যদিও বলেছে, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত। কিন্তু বহু রোহিঙ্গা পরিবার নিরাপত্তার অভাবে এখনো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছে।
গত দুই বছরে কতোদূর এই সংকটের অগ্রগতি হলো, কি অবস্থা এখন, কবে নাগাদ সংকটের সমাধান হবে তা নিয়ে চলছে নানা কল্পনা জল্পনা । দ্বিতীয় বারের মতো চেষ্টা চালিয়ে ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গত দুই বছরে দৃশ্যত কোন অগ্রগতি হয়নি।
২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর নিজেদের মধ্যে অধিপত্য বিস্তার, ত্রাণ সামগ্রী বণ্টন নিয়ে বিরোধ, পূর্ব-শত্রুতার জের, ইয়াবা কারবার, অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধে অপহরণ, খুন, ধর্ষণের মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে।
মাদকের চালান দেশে অনুপ্রবেশ কালে বিজিবি, পুলিশের সাথে বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গত দুই বছরে উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে ৩২ জন রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তৎমধ্যে উখিয়ায় ২৪ জন, টেকনাফে ৮জন জন নিহত হয়।
কক্সবাজারের বন বিভাগ জানিয়েছে, সম্প্রতি আসা রোহিঙ্গারা টেকনাফ ও উখিয়া এলাকার প্রায় ৪ হাজার একর বনাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আশ্রয় নিয়েছে৷ এর মধ্যে উখিয়া রেঞ্জের কুতুপালং, থাইংখালী ও আশাপাশের ৩ হাজার, টেকনাফ রেঞ্জের ৪৫০ একর, শিলখালী রেঞ্জের ৩৭৫ একর ও পুটিবুনিয়া রেঞ্জের ৫০ একর পাহাড়ি জায়গা রোহিঙ্গাদের দখলে রয়েছে৷ এর বাইরেও কিছু এলাকায় তাদের বসতি রয়েছে
সর্বশেষ ২৩ আগস্ট (শুক্রবার) গভীর রাতে টেকনাফের জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় জড়িত দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। নিহতরা হল- জাদিমুরা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো: শাহ ও আবদু শুক্কুর। এ সময় দুটি বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যও আহত হয়েছিল।