সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

চন্দনাইশ-দোহাজারীতে যুবলীগ নেতার সংবর্ধনা সভায় মারামারিতে সাংবাদিকসহ আহত ৭ জন

আপডেট:

মাঈন উদ্দীন,
চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি বলেছেন, যুবলীগ করলে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, রংবাজি বন্ধ করতে হবে। বর্তমান যুবলীগ আগের যুবলীগ নেই, যুবলীগে আসতে না পারলে ছাত্রলীগেও জায়গা হবে না। নিজেরা নিজেরা মারামারি না করে জামাত শিবিরকে প্রতিহত করার জন্য যুবলীগকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। কোন এমপি, মন্ত্রীর সুপারিশে যুবলীগের নেতা হতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রানিত হয়ে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য যুবলীগকে সু-সংগঠিত হওয়ার আহবান জানান। যারা যুবলীগ করতে চান তারা চামচামি বন্ধ করেন। যুবলীগের সদস্য হতে হলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হতে হবে অথবা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হতে হবে, শেখ হাসিনার পরিশ্রমের সঙ্গী হতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, এত সুন্দর সমাবেশকে যারা নষ্ট করেছেন, তারা জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে মারামারি করে আপনারা প্রমাণ করেছেন আপনারা আমাকে মাটি ও মানুষের নেতা বলে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছেন। আপনাদের কাছে আমার কোন গ্রহণ যোগ্যতা নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই, মূল্যায়ন নেই। ২/১ জন নেতার নেতৃীত্বে কারা এ ঘটনা করেছেন তা সিসি ক্যামরায় ধরা পড়বে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে সিসি ক্যামরার ফোটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানান।

যুবলীগের সংবর্ধনা চলাকালে যুবলীগ নেতা লোকমান হাকিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল সমাবেশে প্রবেশ করার সাথে সাথে প্রতিপক্ষের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে হাতাহাতি, চেয়ার চোড়াচুড়িতে ৩ সাংবাদিকসহ ৭ জনের অধিক আহত হয়। জামিজুরী আমানত উল্লাহর ছেলে আলাউদ্দিন (৩০), দোহাজারীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে পাবেল (২০), সাংবাদিক যথাক্রমে আবু তালেব আনসারী, এমএ রাজ্জাক রাজ, নাসির উদ্দিন আহত হয়। আহতদেরকে দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে দোহাজারী এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে, দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশ চলাকালীন বক্তারা বিশৃঙ্খলা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ও সংবর্ধিত অতিথি মীর মো. মহিউদ্দিন পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করে বক্তব্য রাখেন। সে সাথে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাইব্রিড কিছু সংখ্যক নেতার সাথে সাখ্যতা গড়ে তোলার অভিযোগ তুলেছেন এবং তাকে কেন্দ্র থেকে চিঠি দেয়ার পরও তিনি কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

গতকাল ১ জানুয়ারি বিকালে দোহাজারী সিটি সেন্টার চত্বরে কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিনের সংবর্ধনা সভা দোহাজারী পৌরসভা আথলীগের সভাপতি আবদুল শুক্কুরের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি। আথলীগ নেতা বাবর আলী ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজাহারুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, উপজেলা আথলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ন.ম. টিপু সুলতান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথি চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তৌহিদুল আলম, দোহাজারী পৌরসভা আথলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন মুরাদ প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত