ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টিপাতের সময় মিঠামইন উপজেলায় দুইজন আর পাকুন্দিয়া ও ইটনায় একজন করে এই বজ্রপাতে তারা মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৭), বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (২২), পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের আয়েছ আলীর ছেলে আসাদ মিয়া (৪৫) ও ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে রুবেল দাস (২৬)।
মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রাব্বানী বলেন, কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওরে বৃষ্টিপাতের মধ্যে গরু আনতে গিয়ে সুমন মিয়া বজ্রপাতের শিকার হয়। এছাড়া একই সময় উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রামের হাওরের জমিতে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাত হলে মহিউদ্দিন মারা যান।
আসাদ মিয়া মারা যান নিজের বাড়ির সামনে জমিতে গরুর জন্য ঘাস কাটার সময়।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আসাদ ঘাস কাটার সময় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাত হলে আসাদ নিহত হন।
ইটনা থানার ওসি মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জানান, বেল সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের হাওরে রুবেল ধান কাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আচমকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে রুবেল আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।