বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

এম এ রহিমের হাত ধরেই বাফুফের স্বীকৃতি পেল কালারপোল ফুটবল একাডেমী

আপডেট:

আব্দুল কাইয়ুম,
সময়টা ১৯৯৪, দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী উপজেলার কালারপোল এলাকায় ছোট্ট কুুঁড়েঘর নিয়ে যাত্রা শুরু করে কালারপোল ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল একাডেমী। দীর্ঘ ২৬ বছরের প্রতিক্ষার অবসান ফুরিয়ে ফিফা এএফসি বাফুফের থেকে চুড়ান্ত স্বীকৃতি অর্জন করেছে দক্ষিণ চট্টলার ফুটবল খেলোয়াড় তৈরির অন্যতম কারখানাখ্যাত কালারপোল ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল একাডেমী। রেজি:- BAN/0032/AAS-20 ।

১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই একাডেমীর প্রতিষ্টাতা সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন মোঃ ফারুক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, মোঃএয়াকুব,মোহাম্মদ ইলিয়াছ,মোঃ জামাল উদ্দীন, হাজী মোঃ আব্দুর রহিম,এম মহিউদ্দীন মুরাদ,মোঃ সাইফুদ্দীন মানিক মেম্বার। মোঃ হেলাল উদ্দিন, মূলত তাদের হাত ধরেই একাডেমী -টি ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে। সর্বশেষ ২০০০ ইং সাল থেকেই একাডেমীর দায়িত্বে আছেন এম এ রহীম। মূলত এই কৃতি ফুটবলারের হাত ধরেই বাফুফের স্বীকৃতি পায় কালারপোল ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল একাডেমী ।

বিজ্ঞাপন

একান্ত আলাপচারিতায় এই প্রতিবেদকের সাথে একাডেমীর এমন গৌরবময় স্বীকৃতির বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন কালারপোল ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল একাডেমীর বর্তমান সভাপতি এম এ রহিম:-
খেলার জগতে প্রবেশ নিয়ে এম এ রহিম বলেন, ১৯৯৯ সালে সাবেক ফুটবলার মোঃ সোহেল টিপু ভাই ও টিটু চাকমা ভাইয়ের হাত ধরে একাডেমীতে প্রথম জুনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরী পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে প্রথমবারের মত কালারপোল ক্রীড়া সংস্থার পক্ষে খেলতে নামেন। এরপর ঢাকা পাইওনিয়ার লীগ ও ৩য় বিভাগ ফুটবল লীগে ঢাকা দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেছেন , চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিভিন্ন লীগ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহন করে বহু কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ২০০৬-২০০৭ মৌসুমে চট্টগ্রাম রেলওয়ে রেঞ্জার্স দলের পক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রথম বিভাগ লীগে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানেন।
কালারপোল ক্রীড়া সংস্থার দায়ীত্ব গ্রহনের ব্যপারে এ কৃতি ফুটবলার বলেন, ২০০৮ সালে এম মহিউদ্দিন মুরাদ ভাইয়ের হাত ধরে আমি কালারপোল ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল একাডেমীর সভাপতির পদ আসে আমার কাঁধে। এরপর দক্ষিণ চট্টলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খুদে ফুটবলারদের বাছাই করে কালারপোল একাডেমীর তত্বাবধানে নিয়ে আসি। এসব খেলোয়াড়দের প্রতিভা অন্বেষণ করে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে অনুর্ধ্ব-১৫(কিশোর),অনুর্ধ্ব-১৮(পাইওনিয়ার) ও চট্টগ্রাম জেলা ( ৩য়, ২য়, ১ম বিভাগ), প্রিমিয়ার ডিভিশন ও ঢাকা বিভাগ লীগে বহু খেলোয়াড় বিভিন্ন দলে খেলার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন এবং এর ধারাবাহিকতা বর্তমানেও চলমান এবং খেলোয়াড়রাও ভালো পারফরমেন্স করে আসছে।
একাডেমির পরিচালনা করার ব্যপারে তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকেই অফিসিয়ালি সভাপতির দায়ীত্ব গ্রহণের পর থেকেই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে একাডেমীকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করে আসছি। পরপর তিন মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পাই। সর্বশেষ গত ২৯/১১/২০২০ ইং রোজ রবিবার শত চেষ্টা ও পরিশ্রমের সুফল হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আওতাভুক্ত হয়ে ফিফা এএফসি স্মারক নং-BAN/0032/AA-20 ‘র একাডেমী স্বীকৃতি লাভ করে( ONE STAR) একাডেমী হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সর্বশেষ ক্লাবের সকল সুধী,শুভাকাঙ্ক্ষী,প্রতিষ্ঠাতা পরিষদ,গভর্নিং বডি,কার্যনির্বাহী পরিষদ ও সকল খেলোয়াড়বৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে। কালারপোল ক্রীড়া সংস্থা ফুটবল একাডেমীর সর্বাত্মক সফলতা কামনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত