এম.মোবারক হোসাইন,
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের দৌছড়ি উত্তরকুল মাস্টার বাদশা মিয়া বাড়ির পাশে বন্যার পানি কমে যাওয়ার ফলে নদী ভাঙতে শুরু করেছে। এই ভাঙ্গন ঠেকাতে না পারলে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে পুরো এলাকা। দুই বছর আগে ভাঙ্গন প্রতিরোধে এর ভেড়ি বাঁধ দেওয়া হলেও এই বছর উজানি ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।
এলাকার মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, এই মুহুর্তে যদি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হয়, তাহলে পুরো এলাকা পানিতে ভেসে যাবে এবং শত শত পরিবার ঘর হারা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি এইমূহূর্তে পদক্ষেপ না নিলে নিঃস্ব হয়ে পরবে এই এলাকার মানুষ। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার সাধারন মানুষ আশ্রয় নেয়ার মত সামর্থও নেই তাদের।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইসমাইল নোমান বলেন, দুই বছর আগে আমি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২টি বাঁধ নির্মাণ করেছিলাম।এখন তা নষ্ট হয়ে গেছে, তাই পুনরায় তিনটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাবে বলে আসা করা যাচ্ছে । তবে স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে হলে চারিদিক ব্লক বা ড্যামপিং ব্যাবস্থা করে স্থায়ীভাবেভাবে ভাঙ্গন রোধের উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
এলাকাবাসী প্রতিবেদককে জানান,নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে তারা। এই ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সহযোগিতা একান্ত ভাবে কামনা করেন। এই নদীর উৎপত্তি আরকান রাজ্যে এবং তা বাকঁখালী নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এমপি কমল ও উপজেলা প্রশাসনের সূ-দৃষ্টিতে এই ভাঙ্গন ঠেকাতে পারবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।