বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

একজন মানবিকতা সম্পন্ন কবি ও সাংবাদিককে বাচাঁতে এগিয়ে আসার আহবান

আপডেট:

এস.এইচ.জুনাঈদী,চট্টগ্রাম :
আমাদের প্রিয় মানুষ কবি মঈনুল ইসলাম শামীম জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।

একজন নির্মোহ-নির্লোভ কবি মঈনুল ইসলাম শামীম। অর্থ-বিত্তের দিকে কখনও ঝোঁকেননি। অতি সাধারণ মানের জীবনযাপন করে কাটিয়ে দিয়েছেন জীবনের ৪১টি বছর। শত অভাব অনাটনেও লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয়ে অসুন্দর-অন্যায়-অসাম্যের বিরুদ্ধে কলমযুদ্ধ করেছেন আজীবন।

বিজ্ঞাপন

জন্ম ১৯৭৯ সালের ২৩ জানুয়ারি নানার বাড়ি চট্টগ্রামে বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম সারোয়াতলী গ্রামের প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত আবদুল গফুর শাহার বাড়িতে। পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সাততেতৈয়া গ্রামে। তাঁর পিতা প্রাক্তন ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও মাতা প্রাক্তন ইউপি সদস্যা শাহজাদী রহিমা খানম নুরু। বোয়ালখালীর প্রখ্যাত সাধক অলি হযরত আবদুল গফুর শাহ আল মাইজভান্ডারীর সেজ সাহেবজাদা আবু তালেব শাহ তাঁর নানাজান।

কবি মঈনুল ইসলাম শামীম তাঁর কাব্য কানন প্রকাশনার ৩৩ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত কবিতায় লিখেছেন
“যদি আমার হয় কখনো টাকাকড়ি ধন
দুঃখির মাঝে বিলিয়েদেব তাই করেছি পণ।
গড়ে দেব বসত বাড়ী ভিটেহীনদের ধরে
দেব আরো আবাদী জমি রেজিষ্ট্রি করে।
মেঠো পথকে ইটো-পথ বানিয়ে দেব গাঁয়
শিশুর জন্য পার্ক বানাব মনের মত সাজায়।
গড়ে দেব অনাথালয় অনাথ শিশুর জন্য
আরো দেব বৃদ্ধাশ্রম দুঃখি বয়েসির জন্য।
গড়ে দেব হাসপাতালে রুগ্ন জনের সেবায়
জ্ঞানের আলো পৌঁছে দেব অজপাড়া সব গাঁয়”

বিজ্ঞাপন

যেমন কথা তেমনি কাজ তার জীবনেতিবৃত্ত পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যেন এই কবিতার প্রতিচ্ছবি। তার জীবনের অন্যতম প্রজ্ঞা ছিল অসহায়, দরিদ্র ও বিপদগ্রস্ত মানুষের সেবা করা। ওনার টাকায় চলতো অনেকগুলো অসহায় পরিবার।কর্ম জীবনে গ্রামের দরিদ্র সাধারণ সরল মানুষ গুলোর পাশে তাদের সুখে দুঃখে নিজেকে জড়িয়ে জীবনের কষ্টার্জিত সকল অর্থ যিনি নির্দ্বিধায় খরচ করেছেন গরীব ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার পেছনে। গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা পারিশ্রমিকে লেখা-পড়া করিয়েছেন তিনি। যার ধরুন কোমলমতি শিশু ও ছেলেমেয়েদের কাছে হয়েছেন শ্রদ্ধার বরপুত্র।

আজ মানবিক এই কবি মঈনুল ইসলাম শামীম দুরারোগ্য ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলেছেন জরুরি ভিত্তিতে ভারত নিয়ে যেতে। আর এই চিকিৎসায় প্রয়োজন হবে কয়েক লক্ষ টাকা যা সম্পূর্ণ তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। পরিবারের অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ বড় ছেলে শামীম অল্প আয়ের একটি কোম্পানির চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি এবং সাংবাদিকতা করছেন। বীর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী মাসিক আন্দরকিল্লা পত্রিকার বিভাগীয় সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন অনেক বছর যাবত। ছোটদের জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে একাধিক কবিতা সহ “কাব্যকানন” ছাড়াও লিখেছেন একাধিক বই।গভীর রাত জেগে লেখালেখির পাশাপাশি ধর্মকর্ম নিয়েও ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করতেন ।

সংসার জীবনে এই মানবিক কবি মঈনুল ইসলাম শামীম এর বৃদ্ধ মা বাবা, ছোট ভাইবোন ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও একটি অবুঝ শিশু সন্তান। যে আজ তাকিয়ে আছে তার অসুস্থ বাবার দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পথের দিকে। গ্রামের অবুঝ সরল ছেলেমেয়ে গুলো অপেক্ষায় থাকতো তাদের প্রিয় কবি শামীম ভাইয়ের নতুন লেখা কবিতা শোনার জন্য। আজ তারা চেয়ে আছে মহান আল্লাহর পানে তাদের প্রিয় শামীম ভাইয়ের রোগমুক্তির আশায়।

তার চিকিৎসা ব্যয়ের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন পরিবার সহ তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা তবুও সাহস হারাননি তিনি। কিন্তু ক্যান্সারের এই অবস্থাই শুধু সাহসই একমাত্র অস্ত্র নয়। তার জন্য প্রয়োজন অর্থ। তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকে দেশের বিত্তবান ও সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অর্থ সাহায্য চাওয়া হয়েছে। সাহায্য করতে বিকাশ করুণ নিম্নোক্ত নাম্বারে।
01812-545122, 01638-436690।

ব্যাংক একাউন্ট
Md Anisul Islam
একাউন্ট নাম্বার
20501630204725502
Islami Bank Ltd
Patiya Branch, Chittagong.
01872612620(personal).

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত