মুহাম্মদ দিদার হোসাইন,বাঁশখালী প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের খাটখালীতে অভিযান চালিয়ে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করার ফলে কয়েকটি ফিশিং বোটের জাল জব্দ করে পরে তা আগুনে পুড়ে ছাই করে দিয়েছে পুলিশ।এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বোট মালিকদের।
সরকার নির্দেশিত আইন অমান্য করে মা ইলিশ প্রজননের মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরনের অভিযোগে প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মৎস্য আহরনকারি জাল পুড়ে ছাই করে দেয় পুলিশ।
সহকারি পুলিশ সুপার শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে বাঁশখালী থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বুধবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের খাটখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে খাটখালী ঘাটে জব্দকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকার জাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জব্দকৃৃত জাল আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত করার ফলে প্রায় অর্ধকোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয় বোট মালক মঞ্জর মাঝি, জুনু মাঝি, মুহাম্মদ হারুন মাঝি ও মুহাম্মদ আনিছ।
সহকারী পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক জানান, সরকার সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ সমৃদ্ধ করতে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক মা ইলিশ রক্ষায় চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী সামুদ্রিক মাছ ধরা, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রিয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময় সমুদ্রে মৎস্য আহরন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় এবং সমুদ্রে জাল-বোট নিয়ে অবস্থান সম্পুর্নভাবে বেআইনী ও দন্ডনীয় অপরাধ। তিনি আরো বলেন, ২১ অক্টোবর (বুধবার) খাটখালী এলাকায় অভিযানকালে আইন অমান্য করে নদীতে জেলের জালসহ বোট দেখতে পাওয়া যায়। সাথে সাথে তা জব্দ করে সমস্ত জালে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এ সময়ে অন্যন্যদেরকেও আইনের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যতায় নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ ও আইন অমান্য করার অপরাধে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়।
তবে ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরনের কথা অস্বীকার করে বলেন, তাদের বোটগুলো নিষেধাজ্ঞার পূর্বদিন থেকে ঘাটে বাঁধা ছিল। তারা আইন অমান্য করে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরনে যায় নি বলে জানান। তাদের জালগুলো পুড়িয়ে দেওয়ায় তারা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও জানান মালিক পক্ষ। এ ঘটনায় ওই এলাকার জনমনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন গন্ডামারা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আরিফুল ইসলাম, থানা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সহ বাঁশখালী থানা পুলিশের বিশেষ একটি টিম।