রাজস্থলী রাংগামাটি প্রতিনিধি:
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল কে.জি স্কুলের ১৫ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীর সালাম নিবেন। করোনা ভাইরাসের কারনে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল কে.জি স্কুল আপনার নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। কে.জি স্কুলগুলো পরিচালিত হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক বেতনের ওপর। এখন স্কুল বন্ধ বিধায় সকল টিচারদের বেতনও বন্ধ। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল জমা পড়ে আছে, স্কুল বিল্ডিংয়ের মালিক স্কুল ঘরভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। ভাড়া দিতে না পারার কারনে বিল্ডিংয়ের মালিকেরা স্কুলের ঘর ছেড়ে দিতে বাধ্য করতেছে। এসব কে.জি স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা বেকার হয়ে যাবে, দেশের ১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা যে কষ্ট করে কে.জি স্কুলের শিক্ষকেরাও একই কষ্ট করে। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার ৪০% কে.জি স্কুলের টিচাররা সম্পন্ন করে। আজ কে.জি স্কুলের টিচাররা বেতন না পেয়ে খুবই কঠিন সময় পার করছে, তারা কারো কাছ থেকে সাহায্য চাইতে পারেন না। তাই কে.জি স্কুলের টিচাররা না খেয়ে মারা যাওয়ার অবস্থা।
আপনার মত একজন যোগ্য, দক্ষ, দরদী এবং বিশ্ব মা থাকতে যদি কে.জি স্কুলের টিচাররা না খেয়ে মারা যায় তাহলে বিশ্বের কাছে আপনার সব সুনাম ও অর্জন একদিনেই শেষ হয়ে যাবে। তাই কে.জি স্কুলের টিচারদের বাঁচাতে তাদের জন্য রেশন কার্ড ও মাসিক ৬০০০ টাকা সম্মানী ভাতা দিয়ে তাদেরকে বাঁচতে সাহায্য করুন। আপনি ১২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বছরের পর বছর বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন অথচ তারা দেশ ও জাতির কোন কাজে আসতেছেনা।
আর কে.জি স্কুলের টিচারদের শিক্ষাক্ষেত্রে বড় অবদান। আর তারা না খেয়ে মারা যাবে এটা আপনার জন্য অমঙ্গল ও অপমানজনক হবে।
তাই দয়া করে কে.জি স্কুলের টিচারদেরকে বাঁচতে সাহায্য করুন, তাদের প্রতি দয়া করুণ। আপনিই আমাদের একমাত্র অভিভাবক, আমরা আপনার সন্তান। এই সন্তানদের দিকে একটু নজর দিন একটু খেয়াল করুন।
আবেদনকারী-
লায়ন মোহাম্মদ দিদারুল ইসলাম
চেয়ারম্যান (চট্টগ্রাম)
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (কেন্দ্রীয় কমিটি)
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন