“থামাতে গুনার প্রলয়
রমজান’ই শ্রেষ্ট সময়”
“মৃত্যুকে স্মরণ করে,
নামাযকে কর বরণ।
খোদার ভয় রাখলে মনে,
বদলে যাবে তোমার ধরণ “
‘রাসুল (সাঃ) বলেছেন’,
“বাম চোখ হতে ডান চোখের দুরত্ব যতটুকু মৃত্যু তার চেয়েও নিকটে”
এটা শুনার পর ও কি হে মানব তোমার ভয় করে না, কিসের বলে তুমি অকুতোভয়,নির্ভীক, চিন্তাহীন, বেপরোয়া, সঠিক পথের দিশেহারা। তোমাকে ও তো দাঁড়াতে হবে আল্লাহর সামনে, দিতে হবে কৃতকর্মের হিসাব,করেছ জানা অজানা যত গুনাহ, সবকিছুর হিসাব নিবেন মহান রাব্বানা।
” একদিন “👇
” দাঁড়াতে হবে তোমায়
হিসাবের কাটগরায়
দিতে হবে মাশুল
করেছ যত ভুল জানা-অজানায় “
পেতে হবে পাপের শাস্তি, দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছ মানুষের জীবনে যত অস্বস্তি।
গুনতে হবে হিসাব কড়াই কড়াই, দাঁড়াতে হবে হিসাবের কাটগরায়,হিসাবের কাটগরায়।
” তাই “
” এখনো সময় আছে
বন্ধ কর পাপাচার
হারিয়ে গেলে সময়
ফিরে পাবে না আর “
কিন্তু আল্লাহ তো মহান,তিনি শুধু শাস্তি দেন না, ক্ষমাও করেন বেশি বেশি। এই রমজান তো তাদের জন্য, যারা গুনায় হয়েছ ধন্য,করে দিয়েছন খোদা আমাদের সুযোগ, খোদার চরণে কেঁদে কেঁদে , যত পাপ দূর করে,নতুন আশায় বাঁধোবো বুক।
” খুশির বার্তা নিয়ে
এলো রমজান
আকাশ বাতাস মুখরিত
করে তাহার গুণগান “
” রহমত নাজাত আর মাগফিরাতে
কাটবে ত্রিশ দিন
খোদার সনে প্রেম আলাপনে
দুঃখ যত হবে বিলীন “
জান্নাত তো তৈরি করেছেন খোদা আমাদের তরে,তবে আমরা কেন ভারী হব অযথা গুনার ভরে,কেন আমরা ছারখার হবো জাহান্নামের আগুনে পুড়ে।
” ভুলে যাও গুনার রাস্তা
করেছ যত পাপ
রমজানে কেঁদে
নিজেকে কর সাফ “
” এইতো সময় সর্বোত্তম
নামাতে গুনার বোঝা
ইহকালে করলে গুনাহ সাফ
পরকালের পথ হবে সোজা “
মৃত্যুকে স্মরণ করো,সেটাই চিরসত্য, চিরন্তন। চোখ খুলে দেখ,মন খুলে ভাবো,
আজ সকালে সুস্থ শরীরে ঘুম থেকে না উঠলে, তোমার স্থান এখন কোথায় হতো?
সময় হতো না তখন আর তওবা করার।
এমনও তো আছে অনেকে,যারা কাল ঘুমিয়েছে সুস্থ শরীরে, কিন্তু নিয়তির পরিহাসে সে আর চোখ মেলেনি পৃথিবীর বুকে।
” তাই “
” দাঁড়িয়ে যাও জায়নামাজে
কাঁদো খোদার চরণে
হৃদয়ে রাখ মৃত্যুর ভয়
থাক সদা খোদার স্মরণে “
” নাম যে তাহার রহমান
দয়া তাহার সুমহান
একটু তাহার পেলে দয়া
দূর হবে সব পাপের ছায়া “
কাজে লাগাও রমজান, কিয়ামতের দিন আল্লাহ নিজের হাতেই দিবেন এর প্রতিদান। শুধু নত শিরে,দু’হাত উর্ধ্বে বাড়িয়ে, দু’ফোটা চোখের পানি ফেলে, কাঁদো ফানা-ফিল্লার দরবারে, এক লাহমায় দূর হবে জীবনের গুনার পাহাড়, নিমিষেই আসবে খোদার মহব্বত,রহমত, ভালোবাসা, মায়া-মমতা, অন্তরে তোমার।
” দিয়েছেন খোদা উন্মুক্ত বিবেক
দিয়ছেন সিন্ধান্ত নেওয়ার অধিকার
তোমার কাছেই আছে সুযোগ
নামাতে নিজের গুনার পাহাড় “
স্বাভাবিক ভাবেই একজন বাবার থেকে একজন মায়ের সন্তানের প্রতি আদর,মায়া-মমতা বেশি থাকে।
একটি হাদিসে
‘ রাসুল (সাঃ) বলেছেন ‘
একজন মা তার সন্তানকে যতটা ভালোবাসে,এরকম ৭০ জন মায়ের সমান ভালোবাসেন আল্লাহ তার একজন বান্দা কে। তাহলে যে আল্লাহ আমাদের এত ভালোবাসেন তাঁর আমাদেরকে আগুনে পুড়াতে কতটা কষ্ট হবে একটু ভাবুন তো।
‘ তাই হে ‘
” মানব ভাবো বসে একান্তর
মূল্য দাও খোদার ভালোবাসার
তওবা করে ফিরে এসো
দ্বীনের রাস্তায় এবার “
” থাকুক তোমার যত গুনাহ
করবেন তিনি ফানা
তিনি অসীম দয়ার সাগর
পরম শান্তির ঠিকানা “
আল্লাহ’ই ভালো জানেন। তিনি জানেন যে তাঁর বান্দারা গুনাহ করবে, তাইতো আল্লাহ তায়ালা তওবার পথ খুলে রেখেছেন, হে মানব হোক না তোমার গুনাহ আসমানের মত বড়,একবার তো তাঁর দরবারে তওবা কর, তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়,করুণার আঁধার,শান্তির পাহাড় । তওবা করে ভুলে যাও, অতীত পাপের গল্প,তাহাতেই করে দাও নিজেকে নিষ্পেষিত, আসবে খোদার রহমত অফুরন্ত,খুঁজে নাও খোদা প্রেমের নূরী ক্ষেত্র। এই রমজানই শ্রেষ্ঠ সময়,থামাতে গুনার প্রলয়,ভিখিয়ে দাও নিজেকে খোদা-নবীর প্রেমে,আসমানি সুখ আসবে তোমার দিকে ধেয়ে ধেয়ে । একটুখানি চিন্তা কর, কেন তোমার উদয় হলো, কি বলে এসেছিলে তুমি খোদার কাছে,আর কিসের পাহাড় গড়েছ তুমি ধরণীর বুকে।
‘তাই’
” আর দিও না নিজেকে ধুকা
মসজিদের সাথে কর একটু দেখা
ছেড়ে দাও দু’চোকের পানি
পাবে খোদার অশেষ মেহেরবানি “
ارْجِعِي إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
(আল ফাজ্র – ২৮)
লেখক- সিয়াম আহমেদ রাকিব
৪ মে ২০০০ বিশ