শনিবার, আগস্ট ১৬, ২০২৫

কক্সবাজারে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমা

আপডেট:

এম এ সাত্তার,
কক্সবাজারে তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর পাশের ঝাউবাগানস্থ মাঠে শুরু হয়েছে। ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমার প্রথম দিনেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এসে ভরে গেছে মাঠ। হাজারো মুসল্লির কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে আল্লাহু আকবর। আগামীকাল শুক্রবার আরো বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম বলে আশা করছেন এই এজতেমা আয়োজকরা। আসছে শনিবার দুপুরের আগে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে কক্সবাজারের তিনদিন ব্যাপী এই ইজতেমা। তাবলীগ জামাতের মুফতি মাওলানা মোর্শেদুল আলম ফজরের নামাজের পর বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন ইজতেমার কার্যক্রম। সরেজমিনে দেখা গেছে, মুসল্লিরা তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে মাঠের নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিচ্ছেন। আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত মুসল্লিদের এ আগমণ অব্যাহত থাকবে।

বুধবার থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামাতবদ্ধ মুসল্লিরা এসে এজতেমার মাঠে অবস্থান নিচ্ছেন। সৈকত নন্দনী কক্সবাজারের এই বালিয়াড়ীতে ইজতেমাস্থল এখন মুসল্লিদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। ইজতেমায় প্রথম দিনে জেলার ৮ উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেছেন। টেকনাফের হ্নীলা রংগীখালী থেকে আসা মুসল্লি মোহাম্মদ নুর জানান, নামাজ-দোয়া ও আমল আখলাককে পরিশুদ্ধ করতে এখানে এসেছি। এখান থেকে আবার ৪০ দিনের চিল্লায় চলে যাব। দুনিয়াটা দুদিনের তাই এই দিনে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার লক্ষে ইসলামের হুকুম আহকাম নিজে মেনে চলে সমাজেও প্রতিষ্টা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আয়োজকরা জানান, ‘ইজতেমার মূল উদ্দেশ্য হলো তাবলিগে যাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা।’ এবারের ইজতেমার পর প্রায় ২০/৩০ হাজার মানুষ তাবলিগের চিল্লায় যাবেন বলেও তারা আশা করছেন। এদিকে ইজতেমার মাঠে আরো দেখা গেছে, মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠের প্রবেশ দ্বারে ৩ স্তর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইজতেমার নিরাপত্তায় প্রায় ২০০শ পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়া আনসার ও তাবলীগ জামাতের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন প্রায় ১০০০ জন। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিন্ন ভিন্ন দলে ভাগ হয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। পুরো ময়দানকে ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। ইজতেমা উপলক্ষে ৪৫০ ফুট বাই ১৪৫০ ফুট সাইজের প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে কমপক্ষে ১ লক্ষ লোক ৩ দিন থাকতে পারবেন। এছাড়া ৭৫০ টি টয়লেট, ১ হাজার প্রসাবখানা, ১০০ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।

পয়:নিস্কাশনে যথেষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিআইপি ও ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে আসা মেহমানদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসা : ইজতেমা ময়দানে ৫টি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। আগত লোকজন খুব দ্রততম সময়ে এই ক্যাম্প থেকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। এ ছাড়াও পানির সমস্যা সমাধানে অস্থায়ী ভাবে বসানো হয়েছে অগভীর নলকুপ।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন সম্পুর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। সাদা শোকাকধারী পুলিশ, গোয়েন্দা ও র‌্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত