সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

কক্সবাজার সরকারী কলেজ গেইটের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় টাকা উদ্ধার, আটক ৪

আপডেট:

কক্সবাজার প্রতিনিধি,
কক্সবাজার বাস টার্মিনালে বিসমিল্লাহ মোটরসের মালিকের উত্তান সহ্য করতে না পেরে পাশের দোকানদার মক্কা মোটরসের মালিকের ছেলে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সে মতে অন্যান্য সদস্যদের মোবাইলে খবর দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে লুন্ঠিত টাকা ভাগভাটোয়ারা করে।

ঘটনার পর ২৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ ছিনতাইকারী সদস্যকে আটক করলে তারা পুলিশের কাছে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩ টার দিকে কক্সবাজার সরকারী কলেজ গেইটের সামনে ব্যস্ততম মহাসড়কের উপরে প্রকাশ্যে ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। লুন্ঠিত টাকার মধ্যে উদ্ধার হওয়া ৫০ হাজার টাকা ও কিশোর গ্যাংয়ের ৪ ছিনতাইকারীকে ২৫ অক্টোবর আদালতে সোর্পদ করা হয়। তারা ছিনতাইয়ের বিষয়ে আদালতেও ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাঞ্চন।

জানা গেছে, কক্সবাজার বাস টার্মিনালস্থ বিসমিল্লাহ মোটরসের (টমটম গাড়ির শো রুম) মালিক মো. হয়রত আলী ও ম্যানেজার সরওয়ার প্রতিষ্ঠন থেকে ৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে লিংক রোডস্থ ইসলামী ব্যাংকে জমা দেওয়ার উদ্দেশ্য টমটম যোগে টার্মিনাল থেকে রওয়ানা দেয়। বিকাল ৩ টায় কক্সবাজার সরকারী কলেজ গেইট এলাকায় পৌছলে পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ছিনতাইকারীরা টমটম গতিরোধ করে তাদেরকে বেধড়ক পিঠিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

এঘটনায় বিসমিল্লাহ মোটরসের মালিক মো. হয়রত আলী বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ১১ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে কক্সবাজার (থানার মামলা নং-২৮, জিআর মামলা নং-১১০৭) থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছিল পুলিশ। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ঘটনার সাথে জড়িত না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়।

মোবাইলের কল লিষ্টের সুত্র ধরেই ঘটনার তদন্তে নামেন পুলিশ। গত ২৪ অক্টোবর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সদ্য যোগদান করা ওসি সৈয়দ আবু মো: শাহজাহান কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেন। তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাদের কাছ থেকে ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে বলে জানান থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো পশ্চিম লারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আইয়ুবের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (১৮), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আব্দুল হামিদ ইমন (১৬), পূর্ব লারপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে ইমরান উদ্দিন খোকা (১৯), খুরুশকুল মনুপাড়ার রেজাউল করিমের ছেলে মোঃ ইমতিয়াজুল করিম সাহেদ (১৮)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাঞ্চন জানান, আটক ৪ ছিনতাইকারী পুলিশের কাছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে ৪৯ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে ২৫ অক্টোবর আদালতে সোর্পদ করা হলে তারা ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাঞ্চন।

ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই জানতেন যে বাস টার্মিনালে বিছমিল্লাহ মোটরসের মালিক হযরত আলী কোন সময় টাকা নিয়ে ব্যাংকে যায়। আটককৃত আব্দুল হামিদ ইমন বিছমিল্লাহ মোটরসের পাশের দোকান মক্কা মোটরসের মালিক আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। সে মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে খবরটি মোস্তাফিজুর রহমানকে জানায়। পরে অন্যান্যরা পূর্ব থেকে ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ছিনতাই করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ছিতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান থানা পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত