রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫

কক্সবাজারে খরুলিয়ায় মুসল্লিকে কোপানোর ঘটনায় মামলা, আটক ১

আপডেট:

কক্সবাজার প্রতিনিধি,
কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় মসজিদের ভেতরে মুসল্লিকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা হয়েছে। ওই মুসল্লির ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় শেখ মাহিন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুমার নামাজ পড়াবস্থায় মুসল্লি আব্দুল মালেককে হত্যার উদ্দ্যেশ্য মসজিদের ভেতরে গিয়ে কাটা জখম করে আহত করার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে ৬ জনের নামঠিকানা উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়। আসামিরা হলেন নবাব মিয়া, রাজা মিয়া, ওসমান গণি, সাদ্দাম প্রকাশ সাউদ্যা, শেখ মাহিন ও ইউসুফ আলী।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,খরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ আলী ও তার ৮ সন্তান দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের ব্যবসা করে আসতেছে। তাদের এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী একাধিকবার বাধা নিষেধ করে আসছিল। সম্প্রতি তাদের অবৈধ কারবারে অতিষ্ট হয়ে উঠে এলাকাবাসি। দীর্ঘদিন ধরে স্থানিয়রা সবই চোখ বুঝে সহ্য করে আসছিল।গত কয়েকদিন দিন আগে দিন দুপুরে আসামিরা ইয়াবা বিক্রি করছিল। এ সময় পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এ দৃশ্য আবদুল মালেকের চোখে পড়লে সে তাদেরকে বাধা দিলে আসামি রাজা মিয়ার সাথে সেদিন তার মৃদুতর্ক হয়েছিল। সেই ঘটনার সুত্রে উক্ত ইয়াবা ব্যবসায়িরা গত দু’দিন আগে প্রতিবাদকারি আবদুল মালেককে মারধর করে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ইয়াবা কারবারিরা মসজিদের বাইরে ওঁৎ পেতে ছিল। মসজিদের ইমাম নামাজের ইমামতি শুরু করার সাথে সাথেই মসজিদের ভিতরই ইউসুফ ও তার ৪ পুত্র রাজা মিয়া, নবাব মিয়া, সাদ্দাম হোসেন এবং ওসমান গনি তাদের হাতে থাকা ধারালো রামদা, কিরিচ ও লোহার রড নিয়ে কোপাতে থাকে। তাদের এলোপাতাড়ি কোপে আবদুল মালেকের মাথাসহ সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত করে মৃতভেবে ফেলে চলে গেলে স্থানিয় কজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে এসে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ইউসুফ আলী ও তার ছেলেরা।

এ মামলার এজাহারভুক্ত শেখ মাহিন নামে একজনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। মুসল্লির ভাই আবদুল মান্নান বলেন, আমার ভাইকে ইউসুফ আলী ও তার ছেলেরা হত্যার উদ্দেশে কুপিয়েছে। আমি তাদের প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, মুসল্লির ভাই আবদুল মান্নান বাদী হয়ে একটি মামলা করছে। এ মামলার এজাহার নামীয় আমরা একজনকে আটক করেছি। শীঘ্রই অন্যান্য আসামিদের আটক করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত