অন্তর দে (বিশাল) কক্সবাজার:
কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের সবুজ বাগ মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রীকে ধ*র্ষ*ণের অভিযোগ উঠেছে বাপ্পি শর্মা নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করেন।
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শর্মা পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ধ*র্ষ*নের অভিযুক্ত যুবক বাপ্পি শর্মা (৩০) একই এলাকার
তুফান শর্মার পুত্র বলে জানা যায়।
এজাহার সূত্রে জানা, ভিকটিমের মা শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল গেলে। সেইসময় বাড়িতে একা রেখে যাই তাদের মেয়ে রেশমিকে (ছন্দনাম)।
বাড়িতে পরিবারের অন্য কোন সদস্য না থাকার সুযোগে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শর্মা পাড়া এলাকায় বাদীর বসত ঘরে প্রবেশ করে থেকে হাত মুখ চেপে ধরে ধ*র্ষ*ণ করার চেষ্টা করে।
এ-সময় ধ*র্ষ*ক বাপ্পি শর্মা তার কু- উদ্দেশ্য চরিতার্থে কাজে বাধা গ্রস্থ হলে মেয়েটিকে মারধর করে এবং মুখ মন্ডল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে আঘাত করে।
ঐসময় ভিকটিম জোরে জোরে চিৎকার করলে স্হানীয় লোকজন মেয়েটি উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে, তখনই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় ধ*র্ষ*ক বাপ্পি শর্মা।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা-মা কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ে’র ও এলাকাবাসীর কাছে ঘটনার বিষয় বিস্তারিত জানতে পারে।
ভিকটিমের পিতা জানান, বাপ্পি শর্মা বর্তমানে হুমকি প্রদান করতেছে। এইসব ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা মোকদ্দমা করলে আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ করে মারবে, কাটবে, খুন- খারাবী করবে ইত্যাদি। ঘটনার দিন ও সময়ে ঘটনাস্থলে আসে তার কু- উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যে আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মারধর করেছে।
এই ঘটনার বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা আমাকে আইনের আশ্রয় গ্রহণের পরামর্শ দেন। আমি ঘটনার পরপরই আমার মেয়েকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করায়। আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করছি। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এনিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই সাত্তার জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে আসছি। ভিকটিমদের পরিচিত আত্মীয় হয় সেই। প্রায় যাওয়া আসা করতো। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই দ্রুত মামলা নেওয়া হবে।