রাকিব চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি:
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা বহুদিনের পুরোনো সমস্যা। এ সমস্যা নিরসন না হওয়ার জন্য একসময় অর্থ বরাদ্দকে অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হতো। কিন্তু এখন সে সমস্যা নেই।দেখা যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হলেও নগরবাসী সুফল পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ পরস্পরকে দায়ী করছে।
২০১৭ সালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পায়।
২০২০ সালের জুনেই শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পের কাজ। কিন্তু দফায় দফায় ব্যয় ও সময় বাড়ানোর কারণে এখনও এ কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্পের মেয়াদ দুই দফা বাড়িয়ে ২০২৩ এর জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ে কাজ শেষ হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। এরপর আরেক দফা সময় বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।
গত সাত বছরে প্রায় ৫ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা খরচ হলেও চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন তো হয়নি; বরং এ সমস্যা প্রকট রূপ ধারণ করেছে । এখন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আবার বেশি সময় ধরে পানি জমে থাকছে। ভারী বৃষ্টিতে বছরে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার ডুবছে নগরী।
ভারী বৃষ্টির কথা বাদ দেয়া যাক,ইদানীং দেখা যাচ্ছে দু একঘন্টা অল্প বৃষ্টিপাত হলেই নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায় “এ কাজ সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন করছে না এগুলো (সিডিএ) এর কাজ।আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করুন ” এ বলে তিনি কল কেটে দেন!
কোন বিষয় খোলাসা না করে এভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান সিটি মেয়র। সাধারণ জনগণ বলছে ” ক্ষমতার কতো হাতবদল হলো, হচ্ছেনা উন্নয়ন! ভোগান্তিতো কমছেই না,তবে বরাদ্দ আসা হাজার কোটি টাকা যাচ্ছে কোথায়?