বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

সাংবাদিক এম এ সাত্তার’কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ!

আপডেট:

নিজস্ব সংবাদদাতা:
দৈনিক আজকের কক্সবাজার বার্তা’র বিশেষ প্রতিবেদক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল চট্টগ্রাম ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি, সাংবাদিক এম এ সাত্তার’কে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। উক্ত মামলায় এম এ সাত্তার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

একাধিক মামলার জেল ফেরত আসামি কক্সবাজার পৌরসভার আলির জাহাল এলাকার ত্রাস, ভাড়াটে খুনি, দুধর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ রুহুল আমিনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনা ও নির্দেশে।কনটাকে ডাকাতি ও জবর দখল করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় জেলখাটার (জিআর মামলা ২০৪/২১, ৪(১)/৫ ধারার দ্রুত বিচার সংশোধনী আইন ২০১৯) জেরে। মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন খুরুশকুল ইউনিয়নের কাউয়ার পাড়া নামক এলাকার চিহ্নিত প্রতারক, হত্যা মামলাসহ অসংখ্য মামলার আসামি মৃত ফজর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সুলতান (৮৫)।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণীতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অবৈধ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ষ্টাম আদায় সহ মারধর করে আহত করেছে মর্মে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। গত ২৭ জুলাই ২০২১ তারিখ কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নং ২, আমলী আদালতে নালিশী মামলার আবেদন করেন।

তারিখ উল্লেখ করে যে স্থানে সংঘটিত ঘটনার বিবরণ দিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ওই দিন সময়ে উক্ত এলাকার মধ্যে এ ধরনের কোন ঘটনা সংগঠিত হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে উকিল এর মাধ্যমে উপস্থাপন করে কোর্টকে ভুলবুঝিয়ে চুক্তিতে মিথ্যা মামলাটি রুজু করেন প্রতারক চক্রের মুলহোতা মুন্সি হাফেজ আহমদ।

বিজ্ঞাপন

দুর্নীতিবাজ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণে প্রকাশ্য কিছু করতে না পেরে একটি কুচক্রী মহল হয়রানির উদ্দেশ্য নিরক্ষর সুলতানকে ব্যবহার করে মিথ্যা, বানোয়াট ঘটনা উল্লেখ্য সিআর মামলায় এম এ সাত্তারকে ২নং আসামি করেন।

সূত্রে জানা যায়, খতিয়ান ভূক্ত নিজের নামে রেজিস্ট্রি জমি থাকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩৫/৪০ বছর যাবৎ বিবাদী সৈয়দ আলমের ভোগ দখলে থাকা বনবিভাগের একখন্ড জমিকে নিজের জমি দাবি করে আসছিল খুরুশকুল ইউনিয়নের মোঃ সুলতান নামক জনৈক ব্যক্তি।

মোঃ সুলতান একটি কুচক্রী মহল কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে থানা কোর্ট সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে বিচার সালিশ এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্বারা হুমকি-ধমকি প্রদান করে বনবিভাগের একটি জমি পাওয়ার জন্য অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করে আসছে যুগঅধিক। ঘটনাপূর্ব কোন একদিন পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ঘাটঘর বাজারের পূর্ব পাশে খতিয়ানভুক্ত রেজিস্ট্রি জমি পরিদর্শনে যায় খুরুশকুলের ওই সুলতান।

পূর্বপরিচয় সূত্রে ছনখোলা এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ফজল কাদের, আবু তাহের, নুরুল কবিরসহ কয়েক ব্যক্তির মিথ্যা প্ররোচনায় পড়ে যায় সুলতান। ফরিদুল আলমকে হত্যার পর দেশছেড়ে পালিয়ে বেঁচে থাকা (চল্লিশ/পঞ্চাশ বছর আগে) সুলতান গ্যংয়ের দখল করা সরকারি বনভূমির জায়গা (বর্তমান অন্যের দখলে) উদ্ধার করে দিতে পারবে বলে চিহ্নিত মাদকাসক্ত ফজল কাদের চক্রের খপ্পরে পড়ে অন্ধবিশ্বাসে পিছু নেয় সুলতান।

তাবৎ কক্সবাজার পৌরসভাস্থ আলির জাহাল এলাকার ত্রাস, অবৈধ অস্ত্রধারী, ভাড়াটে সন্ত্রাসী রুহুল আমিনের কাছে মিথ্যা মামলার বাদী “সুলতান’কে নিয়ে যান ফজল কাদের ।

রুহুল আমিন জমি উদ্ধার করে দিবে বলে মিথ্যা প্রলোভনে ফেলে ৫ লক্ষ টাকার রফাদফা করেন। কৌশলে একটি অলিখিত মৌখিক চুক্তি করেন সুলতানের সাথে। অ্যাডভান্স হিসাবে নগদ এক লক্ষ টাকা গ্রহণ করে রুহুল আমিন সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্তাবাবুদের নিকট তদবির করা শুরু করে দেয়। সে মামলার বাদীর দ্বারা থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করিয়ে আমি অমূক নেতা, তমুক নেতা বলে থানায় প্রভাব বিস্তার করে পুলিশকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। তার কথায় কেউ কর্ণপাত না করলে পুলিশকে মোটা অংকের প্রলোভন দেখিয়েও ব্যর্থ হয় ধান্দাবাজ রুহুল আমিন।

এসময় প্রশাসন বা অন্য কারো শেল্টার না পেয়ে বিকল্প হিসেবে রাতে গুপ্ত হামলার সিদ্ধান্ত নেয় সন্ত্রাসী রুহুল আমিন। মিশন বাস্তবায়ন করতে অন্যান্য সন্ত্রাসীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র মওজুদ ও সংগ্রহ করত: যেকোনো দিন গুপ্ত হামলার পূর্বপ্রস্তুতি নিতে থাকেন সে।

বিগত ২৬/০৩/২০২১ তারিখ গভীর রাতে বাঁকখালী নদী ডিঙ্গিয়ে ২৫-৩০ জনের অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পিএমখালীর ছনখোলা এলাকায় আনুপ্রবেশ করে জবর দখল করতে যায় রুহুল আমিন। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের ধাওয়া খেয়ে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ধৃত হয়ে গণপিটুনির শিকার হন ঘটনার নেতৃত্বদানকারী রুহুল আমিনসহ অন্য ৩ সন্ত্রাসী।খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতার পূর্বক জিআর মামলা ২০৪/২১, ৪(১)/৫ ধারায় দ্রুত বিচার সংশোধনী আইন ২০১৯ রুজু করে জেলে পাঠিয়ে দেয় থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য বর্ণিত মিথ্যা সিআর (৬০৬/২১) মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক এম এ সাত্তারসহ অন্যান্য বিবাদীদেরকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি পাওয়ার নিমিত্তেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তভোগী বিবাদীগণ।

এ ব্যাপারে জানতে মামলার বাদী সুলতানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু জানেন না বলে ফোন কেটে দেয়।পরে কয়েক বার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারী (পিবিআই পুলিশ) কর্মকর্তা শাহেদ মুঠোফোনে জানান, মামলা তদন্ত করে সাক্ষী প্রমাণে সত্য কি মিথ্যা যা পাওয়া যাবে তাই আদালতে দাখিল করবেন। এর বাইরে আরো অধিকতর জানতে হলে অফিসে গিয়ে জানার জন্য বলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত