সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

বাঁশখালীর ছনুয়া জেটিঘাটের বেহাল অবস্থা, ঝূকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা।

আপডেট:

বাঁশখালীর ছনুয়া জেটিঘাটের বেহাল অবস্থা, ঝূকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা

মুহাম্মদ মুহিব্বুর রহমান হীরন, বাঁশখালীঃ

বিজ্ঞাপন

চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া জেটিঘাটটি মেরামত না করায় ভেঙ্গে ঝূলে পড়েছে, ফলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিগ্রই কুতুবদিয়া বাঁশখালীর পারাপরের একমাত্র অবলম্বন ছনুয়া জেটিঘাটটি মেরামত করা প্রয়োজন। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে পারাপার করে থাকে, শিগ্রই মেরামত করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

প্রতিদিন বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের ভূখন্ডে অবস্থিত কুতুবদিয়া উপজেলা হতে বাঁশখালী ও বাঁশখালী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়ত করে এ ছনুয়া ঘাট দিয়ে। বাঁশখালী ছনুয়া লবন ও মৎস শিকারীদের জন্য বিখ্যাত তারাও প্রতিদিন এ ঘাট দিয়েই যাতায়ত করে। এছাড়াও কুতুবদিয়ার পীর মৌলানা মালেক শাহ এর মাজার হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও বিদেশ হতেও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত-আশেক ও মুরিদ মাজার জিয়ারত করতে আসে তাদেরও যাওয়ার একমাত্র সহজ পথ এ ছনুয়া জেটিঘাট।

বিজ্ঞাপন

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে যাতায়ত করে, কুতুবদিয়া যাওয়ার জন্য পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট থাকলেও তা অনেক দূরের পথ হওয়ায় এ ঘাট দিয়েই বেশিরভাগ মানুষ যাতায়ত করে। কিছুদিন আগের বাংলাদেশ উপকূল ঘেসে ধেয়ে আসা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ফণি দেশের কোথাও বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে না পারলেও তার প্রভাবে ভেঙ্গে দেয় এ ঘাটটি। ফলে ইতিমধ্যেই কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান এবং শিগ্রই এ ঘাটটির মেরামত করা না হলে রাক্ষুসী সাগর ঘাটটি ভেঙ্গে তার গর্ভে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলেও ধারনা করা হচ্ছে। তারা ঘাটটির মেরামত করে শক্ত, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী ঠেকসই করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ছনুয়া জেটিঘাটের ইজারাদার সমসের শরীফি জানান, বঙ্গোপসাগর বর্ষাকাল আসলেই তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখায় প্রতিবছর এতে প্রায় সময় ভেঙ্গে যায় এ ঘাটটি। অনেকবার আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ঠিক করলেও কিছুদিন পর আবার ভেঙ্গে যায়, শক্ত, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী ঠেকসই ভাবে এ ঘাটটি করা না হলে এ অবস্থা চলতেই থাকবে। তিনি আরো জানান, এ ঘাট দিয়ে চলাচলের মত অবস্থা এখন নেই বললেই চলে। তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত