এম.মোবারক হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার:
রামুতে ভাড়াটিয়া দোকানদার কর্তৃক মার্কেটের মালিকের ভাইকে মারধর ও সর্বস্ব লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে তিনটায় রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মেরংলোয়া দংদিঘীরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত মহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মৃত নাজের চৌধুরী।
মহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু জানান- তাঁর মার্কেটের ভাড়াটিয়া রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর শ্রীকুল গ্রামের মৃত বীরেন্দ্র বড়–য়ার পুত্র রোনেক্স বড়–য়ার নেতৃত্বে ৪/৫ জনের অজ্ঞাত ব্যক্তি তাঁর স্বত্ত¡ঃদখলীয় মার্কেটে প্রবেশ করে এবং সেখানে রোনেক্স বড়–য়া তার নিজের কম্পিউটার দোকানের মালামাল পালাক্রমে সরাতে শুরু করে।
জানা গেছে-মার্কেটটির প্রকৃত মালিক ছিলেন মরহুম নাজের চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুর পর ৩ ভাই-৫বোন জমিটি তাদের বড় ভাই আমেরিকা প্রবাসী সাইফুল্লাহ চৌধুরী লেবুকে জমিটি হস্তান্তর করেন।
বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর মহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু ঘটনাস্থলে এলে রোনেক্স বড়–য়া ও তার সহযোগিরা তাকে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারিরা জিল্লুকে লাটি-সোটা দিয়ে ও শারীরিকভাবে প্রহার করে। এতে তিনি আহত হন। এসময় হামলাকারিরা জিল্লুর কাছে থাকা ১২ হাজার ৭৩০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
খবর রাতে রাতে রামু থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এ ব্যাপারে জড়িকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান মহিবুল্লাহ চৌধুরী জিল্লু।
মার্কেট মালিক আমেরিকা প্রবাসী সাইফুল্লাহ চৌধুরী লেবুর ছোট ভাই গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আমিন উল্লাহ চৌধুরী জিকু জানিয়েছেন-‘আমার মার্কেটের ভাড়াটিয়া ছিলেন রুনেক্স বড়–য়া। সম্প্রতি আমার কাঠের দ্বিতল মার্কেটটির সংস্কারের জন্য দোকান ঘর আপাতত ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাতে বিলম্ব করায় মার্কেটটি আরো জরাজীর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো।
অবশেষে আমাকে ফাঁসাতে সে গভীর রাতে নিজের মালামাল সরিয়ে উল্টো পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মারধর করেছে এবং মালামাল লুটের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার দাবি করছি’।