বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের চুড়ায় ঝুকিপূর্ণ বসত-বাড়ি

আপডেট:

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই:
অতীতের আষাঢ় মাসের ভয়াবহতা বর্তমান ৯ জুলাই থেকে ১১ জুলাই শনিবার পর্যন্ত তিন দিনের প্রবল বষর্ন গা- শিউরে উঠার মত গল্প মনে পড়ে কাপ্তাইয়ে পাহাড়ের চুড়ায় ঝুকিপূর্ণ শত শত বসতবাড়ি গুলো যেকোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে লন্ডভন্ড হওয়া সহ ব্যপক প্রান হানির শঙ্কা রয়েছে।

ভৌগোলিক অবস্থান, কুপ্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ও ঘনবসতি এবং অপরিকল্পিত পাকা বহুতল ভবন নির্মানের কারনে কাপ্তাই উপজেলার নতুন বাজার এলাকা অন্যতম দুর্যোগ পুর্ন স্হান হিসেবে পরিচিত প্রশাসনের নজরে।
প্রতি বছর ভারী বৃষ্টি ও দুর্যোগের সময় এসব এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র, আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঐসকল লোকজন পুনরায় ঝুকিপুর্ণ বসত বাড়িতে ফিরে আসে।

বিজ্ঞাপন

এসকল সৃষ্ট সমস্যা ও ঝুকিপূর্ণ শ’শ লোকবলকে বার বার স্থানান্তর করার ব্যাপারে কাপ্তাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান এ বিষয়ে সব সময় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।

অপর দিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় সাংসদ সদস্য সহ সকলে দুর্যোগপুর্ণ অবস্থায় কাপ্তাই নতুন বাজার এলাকার প্রতিটি স্থান পরিদর্শন করে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এসব এলাকার জনগণকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হয়নি অনুসন্ধান করে জানা যায় এর মুল কারন কাপ্তাইয়ে মৌজা ও খাস জমি না থাকায় এসব এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না কারন কাপ্তাইয়ের যে সকল ভুমি বা জায়গা রয়েছে তার কিছু অংশ বনবিভাগ, পিডিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং কর্ণফুলী পেপার মিলের জায়গা।

যার ফলে বাধ্য হয়ে উদ্বাস্তুের ন্যায় বসবাস করছে ওখানকার মানুষ। এ ব্যাপারে পরিবেশবাদীরা আশা করেন সম্পদের সুষ্ঠ ব্যাবহার উদ্ভুদ্ধ করন এবং জনগনকে ঝুঁকি হ্রাস কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা জরুরি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত