রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫

হ্নীলায় ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে ইয়াবা গডফাদারের সাথে বিয়ের প্রস্তুতি

আপডেট:

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
হ্নীলায় স্কুলে যাওয়ার সময় ৬ষ্ট শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ভূঁয়া জন্মসনদ তৈরী করে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বিয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। অপহরণের পর এই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষককে অবহিত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। হতাশ এই মা বাল্য বিয়ে বন্ধ করে স্কুল পড়–য়া মেয়েকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহায়তা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অপহৃত ছমিরার মা মজুনা আক্তার জানায়, গত ২৫ আগষ্ট লেদা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী ও পূর্ব লেদার মোবারকের মেয়ে ছমিরা (১৩) কে উলুচামরী বড় লেচুয়াপ্রাংয়ের আবুল হোছনের ছেলে জালাল উদ্দিন গং পথিমধ্যে গতিরোধ করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে অপহৃতের পিতা এলাকায় না থাকায় মা মজুনা আক্তার স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের এই ঘটনা খুলে বলেন। স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ অপহৃত এই ছাত্রীকে উদ্ধারের পর ভূমিকা নিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। মেয়ের বয়স কম হওয়ায় কাজী অফিসে গিয়ে কাবিননামা সম্পাদনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মোটা অংকের বিনিময়ে নতুন করে ভূঁয়া জন্মনিবন্ধন তৈরী করে কাবিন নামা সম্পন্ন করে বিয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মা অল্প বয়সে মাদক ব্যবসায়ীর সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়ে মেয়েকে অনিশ্চিত জীবনে ঠেলে দিতে রাজি নয় বলে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন।

উক্ত ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হাসান বলেন,এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, হ্নীলা বড় লেচুয়াপ্রাংয়ের আবুল হোছনের ছেলে জালাল উদ্দিন স্কুলে পড়াশুনাকালে সমাজে বড় লোক হওয়ার আশায় ইয়াবা কারবারে জড়িত হয়ে পড়ে। তৎকালীন স্কুল ছাত্র ২০১৬ সালে মিরসরাই জোরারগঞ্জ থানায় ইয়াবাসহ আটক হয়। এই মামলায় সেই জালাল কয়েক মাস কারাভোগের পর বের হয়ে আবারও পাচার শুরু করে। এরপর ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম সদর ঘাট থানায় ফের ইয়াবাসহ আটক হয়। সেই মামলায় বেশ কয়েক মাস কারাভোগের পর আবারো বাড়িতে আসে। কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর আবারো নতুন কৌশলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক জোরে-শোরে মাদক পাচারে আবারো সক্রিয় রয়েছে। এই সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়েছে অপহৃত ছমিরার পিতা মোবারকও।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত