সিন্ডিকেট ভেঙে দিন শুকনো পাতার মতো
জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করা কী খুব জরুরী? এগুলো পরে করলে কী হয় না? সময় কী চলে গেছে? এমন অস্থিরতার মাঝে এসব বেহুদা বিষয় আসবে কেন? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আগে সময় দিন। তাঁরা কাজ করুক ও এগিয়ে যাক সামনে। দেশকে মেরামত করুক। হুদাই তাঁদের হযবরল টপিক তুলে দিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে দিচ্ছেন কেন? আমরা কী এখন যা পরিবর্তন করা দরকার তা পরিবর্তন করতেছি? বাজারে গেলে এখনো ব্যাগ ভর্তি বাজার করতে চাইলে পকেট ফাঁকা হয়ে যায়। বাজার করলে ঔষুধ কিনতে পারে না। ঔষুধ কিনলে ছেলেমেয়ের খরচ দিতে পারে না। ছেলেমেয়ের খরচ দিলে অন্য একটা কিছু করতে পারে না। আমরা কী অপেক্ষার কথা ভুলে গেছি? আমরা কেন একটু ধৈর্য ধরতে পারছি না?
পরিবর্তন করার সহস্র বিষয় রয়েছে। অহেতুক জিনিস কেন পরিবর্তন করতে হবে? অবশ্যই একটা জাতীয় সংগীত দেশ ও জাতিকে উপস্থাপন করে। তাই বলে এমন উত্ত্যক্ত সময়ে কেন এসব বিষয় তুলতে হবে? আমরা কি তার আগে সিন্ডিকেট বিষয়ে কথা বলতে পারি না। সিন্ডিকেট যদি কাঁচের মতো ভেঙে বালির মরুভূমিতে রুপান্তর করি তাহলে জানেন দেশের কত কোটি মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে? মনুষ বজারে গেলে মাথায় হুস থাকে না। এমন পরিস্থিতি এখনো। কৃষক থেকে ক্রয় করে একদামে কিন্তু বিক্রি করে বহুগুণে। এগুলো দেখেন না? একজন বাবা বাজারে গিয়ে চোখের পানি মুছতেছে এসব নজরে আসে না? অর্ধেক সামগ্রী কিনে ফিরে আসতেছে এাব চোখে পড়ে না? হাজারো বাবা আর্তনাদ করে আকাশের দিকে চেয়ে থাকে।
সিন্ডিকেট ভেঙে দিন! বাজারের সিন্ডিকেটে নজর দিন। পরিবহন সিন্ডিকেট চোখ দিন। যেখানে নৈরাজ্য চলছে সেখানে দৌড় দিন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেমন চলছে তা দেখুন। দেশে শান্তি ফিরে আনার জন্য যে সেক্টরে কাজ করার কথা সে সেক্টরে কাজ না করে আমরা পড়ে থাকি ফালতু বিষয় নিয়ে। আমরা সেই আগে থেকেই এমন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে দেখুন। খারাপ শিক্ষকের ভিড়ে অনেক ভালো শিক্ষকদেরও পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। শুধু নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য। এসবে চোখ কান না দিয়ে অহেতুক বিষয় নিয়ে পড়ে থাকার জাতি আমরা। আমরা যে কাজ এখন করতে হবে তা না করে যে কাজ ১০ বছর পরও করা যাবে তা নিয়ে আগ্রহ দেখায়। যার জন্য আমার দেশের এই অবস্থা! আগে বর্তমান কি করাটা খুবই জরুরী তা শনাক্ত করুন। আমরা আগেও বহু কাজ করেছি যেখানে সারাজীবনেও খরচ তুলতে পারব না।
নিজের স্বার্থ বা নির্দিষ্ট মতবাদ প্রচার করতেও কোটি কোটি টাকা নষ্ট করেছি। এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎে কি করব তা নিয়ে ভাবা উচিৎ। আপাতত এখন বিভিন্ন সিন্ডিকেট নিয়ে কাজ করুন। মানুষ বহু কষ্টে আছে এখনো। অনেকে ব্যাগ ভর্তি বাজার করছে না ১৫ বছর। অনেকে সব হারিয়ে শূন্য মাইনাস শূন্য হয়ে বসে আছে। সমস্ত সিন্ডিকেট ভেঙে সবকিছু জনসাধারণের জন্য সহজ করে দিন। মানুষ তাদের স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। পাহাড়ের শুকনো পাতার মতো আর মর্মর করে ভাঙতে চাই না। ধূলিসাৎ হতে চাই না। নিজের বাড়িতে নিজের পরিবার নিয়ে থাকতে চাই। আপনারা সিন্ডিকেট ভেঙে ধূলিসাৎ করুন। যাতে সবাই সুযোগ সুবিধা পায়। শিক্ষা সেক্টর, বাজার সেক্টর, পরিবহন সেক্টর ও সরকারি কাজ যেখানে হয় সেখানে নজর রেখে মানুষকে শান্তি দিন। বহু কালো শক্তির ছায়া এখনো শক্ত হয়ে আছে। এসব দেখুন। দেশে শান্তি বজায় রাখুন। নিজে শান্তিতে থাকুন। অপরকেও শান্তিতে রাখুন।
ওমর ফারুক
তরুণ কলাম লেখক