মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী:
সাতকানিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় ২০/২৪টি মোটরসাইকেল এবং বেশ কয়েকটি সিএনজি ট্যাক্সি ভাঙচুর ছাড়াও প্রায় ১৪ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন মকসুদুর রহমান ৫১), আমানুল হক (২৭), হোসাইন মোহাম্মদ (৩২), জসিম উদ্দিন চৌধুরী (৩৩), মোহাম্মদ ফারুক হোসেন (৩৫), আবু সাঈদ হাসান (৩৩) ও আব্দুল গফুর (৫২)। গতকাল (সোমবার) বিকাল ৫টায় উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বদর সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনসহ ১৩ জনকে আসামি করে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার শিকার সেলিম চৌধুরী সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান
প্রার্থী জসিম উদ্দিন ও তার সমর্থকদের দায়ী করা হলেও জসিম উদ্দিন হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা তার কর্মীদের উপর হামলা করেছেন বলে দাবি করেছেন।
হামলার শিকার সেলিম উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার প্রথম দিনে আমি মুরব্বিদের কবর জিয়ারত শেষে প্রচারণাকালে বদর সিকদার পাড়া এলাকায় পৌঁছলে নৌকার প্রার্থী জসিম উদ্দিনের সমর্থকরা হায়েস, মোটরসাইকেল যোগে এসে অতর্কিতে তাণ্ডব চালায়। এতে আমার অন্তত ১৪ জন সমর্থক আহত হয়। বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে আমি সকলকে জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে অস্ত্রধারী হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি। এই বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি মেডিকেল অফিসার উচ্ছ্বাস তালুকদার বলেন, বেশ কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালে এসে প্ৰাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা সোনাকানি নয়ায় আহত হয়েছেন বলে শুনেছি।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। হামলার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারাও এ বিষয় নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।