এম এ সাত্তার, ককসবাজার:
প্রায় এক সপ্তাহ বৈরী আহাওয়া। অপরদিকে টানা বৃষ্টি। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউয়ের পানি আচড়ে পড়ছে সৈকতের পাড়ে। যার ফলে ভাঙ্গন ধরেছে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বেশ কিছু এলাকা। হারাচ্ছে সৈকতের সৌন্দর্য। চলতি বর্ষা মৌসুমের অস্বাভাবিক জোয়ারের তাণ্ডবে ভাঙন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। আর ঢেউয়ের ঝাপটায় সরে যাচ্ছে বালু। ইতোমধ্যে অস্বাভাবিক জোয়ার ও ঢেউয়ের তাণ্ডবে গাছপালাসহ বেশকিছু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সৈকতের শুন্য পয়েন্টে থাকা পাবলিক ওয়াস রুম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমুদ্রের ঢেউয়ের ঝাঁপটা ও অব্যাহত বালু ক্ষয়ের কারণে দীর্ঘ সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ঝাউগাছের মূল। ঢেউয়ের ঝাপটায় গাছের মূল থেকে বালু সরে যাওয়ায় গাছ উপড়ে পড়েছে। জোয়ারের সময় সমুদ্রস্নানে মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। এছাড়া সৈকতের সবুজ বেষ্টনী, সাগর লতা, দোকান-পাটও ঝুঁকিতে রয়েছে। জোয়ারের পানিতে সৈকত তলিয়ে থাকায় পর্যটকদের বাধ্য হয়ে রাস্তায় কিংবা একটু উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের বিশাল জলরাশির সৌন্দর্য উপভোগ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় চাকুরীজীবী আবদুল হালিম প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাটেন সৈকতে কক্সবাভার ভয়েসকে বলেন, আমি প্রতিদিন আছরের নামাজের পরে হাটতে বের হই। লাবণী পয়েন্ট দিয়ে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে শেষ করি। কিন্তু লাবণী পয়েন্টে ভাঙ্গার পর আর হাটার জায়গা পায়না। তীব্র জোয়ারের পানিতে ওয়াকিং জোন ভেঙ্গে গেছে। বর্তমানে এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আরেক পর্যটক নুরুল আমিন বলেন, জোয়ারের সময় সৈকত পানিতে তলিয়ে থাকে। এসময় রাস্তায় কিংবা একটু উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি উপভোগ করতে হয়। এছাড়া সৈকতে পড়ে থাকা গাছের মূল কিংবা বিভিন্ন স্থাপনার ইট পথর গোসলের সময় মারাত্মক ঝুঁকি। এগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
যার কারণে সৈকত ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন পর্যটক ও স্থানীয়রা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন গতকাল প্রবল জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত লাবণী পয়েন্টের ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে যান। এ সময় ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ স্থাপনের কার্যক্রম পরিদর্শন ও দুর্ঘটনা এড়াতে ভাঙনের নিকটবর্তী বৈদ্যুতিক পোলের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেন তিনি।