মুহাম্মদ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রামঃ
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের আবহাওয়ায় গত দুইদিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, গুড়িগুড়ি বৃষ্টির ফোঁটা একই সাথে হালকা থেকে মাঝারি আকারের বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
কিন্তু, শনিবার নাগাদ সকাল থেকে হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি থাকলেও দুপুর থেকে আকাশ থমথমে। বাতাসের উষ্ণতাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বুলবুল গতিপথ পরিবর্তন করে অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায়। উপকূলীয় এলাকায় বেড়েছে ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) যেখানে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১০০-১২০ কিলোমিটার, এখন তা বেড়ে ১৩০-১৫০ কিলোমিটার।এই গতি অব্যাহত থাকলে শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা উপকূলের সুন্দরবন দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ বুলবুলের তান্ডবলীলার শিকার’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ ও উত্তাল
থাকায় চট্টগ্রামে সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে একই সাথে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে সংকেত আরও বাড়ার ধারণা করছে আবহাওয়া অফিস।