রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত বাংলাদেশ – ক্যাম্প থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা।
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ টেকনাফ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া গত বছর ১৫ নভেম্বর ব্যর্থ হওয়ার পর আবারো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তৎপরতায় এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ২২ আগষ্ট তাদের স্বদেশ ফেরানোর জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিলেও কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে উধাও হয়ে গেছে। আবার এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা গেলেও রোহিঙ্গা ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন প্রত্যাবাসন কার্য্যক্রম সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৭ইং সালে ২৪আগষ্ট ভোররাতে মিয়ানমার সীমান্ত চৌকিতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার পর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে বিপূল সংখ্যক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের ঢল নেমে আসে। এসব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ সরকার পড়েন বেকায়দায়। অনেক কূটনৈতিক তৎপরতার পর ২০১৮ইং সালের ১৫ নভেম্বর আলোচনার স্বাপেক্ষে পড়েন রোহিঙ্গরা
প্রত্যাবাসনের দিন নির্ধারণ করা হয়। এরপর হতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চাপা পড়ে গেলেও বাংলাদেশ সরকার আবারো অনেক চেষ্টার মাধ্যমে চলতি বছরে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরার চাপ সৃষ্টি করেন।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের জনসাধারণ কতিপয় এনজিও এবং রোহিঙ্গা উগ্রপন্থীরা গোপনে প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মতৎপরতায় লিপ্ত থাকায় এই ব্যাপারে সাধারণ রোহিঙ্গারা কোন ধরনের মুখ খুলছেনা। ২০আগষ্ট সকালে এই ব্যাপারে একদল সংবাদকর্মী শালবাগান ক্যাম্পে গিয়ে প্রত্যাবাসন তালিকায় থাকা ৩হাজার ৪শ ৫০জনের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে গেলে নুর হাশেম (৩২) অনেক ভয়ে কথা বলা শুরু করে। পরে পার্শ্ববর্তী স্থানে ওঁৎপেতে থাকা রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সংগঠনের নেতাদের তৎপরতায় ভয়ে পিতার নাম পর্যন্ত বলতে পারেনি।
ইতিমধ্যে বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিজ উদ্যেগে রাখাইন ফিরেও গেছে। কিন্তু ক্যাম্পগুলোতে প্রত্যাবাসন বিরোধী উগ্রপন্থী ও উস্কানি দাতাদের নিবৃত করা সম্ভব না হলে ফের হোঁচট খাওয়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গাকে প্রথম ধাপে স্থল ও নৌ পথে গ্রহণ করতে প্রস্তুতি নিয়েছে মিয়ানমার সরকার।