রোহিঙ্গা নারীদের ফাদে স্থানীয় বাংলাদেশীরা
টেকনাফ প্রতিনিধি :
রোহিঙ্গা মায়ানমারের একটি মুসলিম সংখ্যালঘু জাতি, যাদেরকে অনেক মায়ানমারি বৌদ্ধরা বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গণ্য করে। রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মায়ানমারে বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ সরকার মায়ানমার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেবার জন্য বলছে।
মায়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং চরমপন্থী বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত।মায়ানমার রোহিঙ্গাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
১৯৭০ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে বাস করতে শুরু করে, প্রায় দশ লাখ
মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা উখিয়া-টেকনাফে , বসবাস করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।বেশিরভাগ শরণার্থী পাহাড়ে বসবাস করে ,অর্থাৎ পর্যটনশিল্পের উপর নির্ভরশীল একটি উপকূলবর্তী এলাকায় বাস করে।
বর্তমানে রোহিঙ্গাদের প্রভাব উখিয়া-টেকনাফের সকল স্থানীয়দের ধারে এসে পড়েছে । বর্তমানে রোহিঙ্গা নারীদের ফাদে পা রাখছে অনেক স্থানীয়রা। যার কারণ কোন স্থানীয় বাংলাদেশী যদি রোহিঙ্গা নারী বিয়ে করে তাহলে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাই বলে মনে করেন স্থানীয় মাধ্যম। বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফে প্রায় অনেকে রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ে করে সংসার করতেছে, তাদের বাচ্চাদের স্থানীয় স্কুল কলেজে ভর্তি করানো হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন ছাড়া। তাদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তারা বলে আমরা বাংলাদেশী এবং কারো কারো হাতে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন ও রয়েছে। আর যারা স্থানীয় বাংলাদেশীরা রোহিঙ্গাদের বিয়ে করে সংসার করতেছে এই ব্যাপারে স্থানীয় নেতা বা কোন মাধ্যমের নজর নেই বলে চলে। স্থানীয় বাংলাদেশী দের মধ্যে কেউ কেউ আবার বউ বাচ্চা ফেলে রোহিঙ্গা বিয়ে করে আসছে। এর প্রভাব স্থানীয়দের মধ্যে এসে পড়েছে যেমন রোহিঙ্গা নারীদের কারণে স্থানীয় নারীদের মধ্যে একটা কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাংলাদেশী নারীরা রোহিঙ্গা পুরুষদের বিয়ে না করলেও পুরুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন। কয়েক মাস আগে ঢাকা থেকে একজন রোহিঙ্গাদের দেখতে এসে রোহিঙ্গা নারীকে বিয়ে করার দায়ে তাকে সাজা দিয়েছিল প্রসাশন। কিন্তু উখিয়া-টেকনাফে হাজার হাজার স্থানীয়রা রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ে করতেছে তার ব্যাপারে কোন মাধ্যম পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আজ রোহিঙ্গাদের কারণে উখিয়া-টেকনাফের মানুষ অনেক কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করতেছে। উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় বাংলাদেশী শিশুদের জন্ম নিবন্ধন করতে পারছে না অনেক দিন ধরে।