এম.মোবারক হোসাইন, স্টাফ রিপোটারঃ
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড থোয়াঙ্গাকাটার আলী আহমদ ও তার স্ত্রী ২০ বছর ধরে কোন ঘরবাড়ি ছাড়া খোলা আকাঁশের নিচে প্রতিকুল অবস্থায় সঙ্গে কঠিন লড়া করে জীবন যাপন করছে।
মাঝে মধ্যে অন্য জনের বাড়ির বারান্দায় একটি পলিথিন ঘর করে দিন কাটাতে হয় তাদের। আলী আহামদে একমাত্র স্ত্রী ও এলাকা বাসীর সহযোগিতায় তার পরিবার চলে। তার স্ত্রী মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালায়। তাদের নেই কোন সম্পদ নেই কোন বাড়ি।
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে জমি ও গৃহ প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রায় ৯ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।
এ মাসে ৭০ হাজারের পাশাপাশি আগামী মাসে আরও ১ লাখ পরিবার বাড়ি পাবে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুজিব শতবর্ষ পালন করছে সরকার। বছরটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতির পিতার উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ভূমি ও গৃহহীন আট লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু অসহায় গৃহহীন আলী আহামদ ভূমিহীন গৃহহীন হওয়ার পরেও প্রধান মন্ত্রীর উপহার থেকে বঞ্চিত।
গৃহহীন আলী আহামদ ও তার স্ত্রী বলেন আমরা পঞ্চাশ বছর ধরে ভূমিহীন গৃহহীন অবস্থায়। কিছুদিন অন্যজনের জায়গায় পলিতিন বেস্টেনিতে থাকি আবার কিছুদিন খোলা আকাঁশের নিছে বসবাস করি।কিন্তু কেউ আমাদেরকে সাহায্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসেনি। আমরা প্রধানমন্ত্রী র কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমাদেরকে যেন একটা ঘর উপহার দিয়ে দুঃখের জীবন থেকে অবসান দেন। আমাদের শীতকালে টান্ডায় আর গ্রীষ্ম কালে গরমে মরতে হয়।এখন বয়স হয়েছে আর কষ্ট সহ করতে পারছিনা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর পেলে আমাদের কষ্ট দূর হবে।