নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দের দুটি রাস্তা বদলে দিয়েছে পাহাড়ীদের ভাগ্য। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিকস মিডিয়া প্রকাশিত হওয়ার পর বেধেঁছে নানা গুঞ্জন প্রশ্ন।
অনুসন্ধানে জানতে পারি মূল রহস্য, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ বিগত ২০১৯-২০ ইং সালে ১ নভেম্বর টেন্ডার বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে ক) নাম্বারে তালিকায় রাবার বাগান হতে পাইন্দং পাড়া, শশ্মান ঘাট যাত্রী ছাউনি হয়ে তরগুমুখ পাড়া পর্যন্ত এবং খ) নাম্বার তালিকা রয়েছে বালুমুড়া হতে কেচি পাড়া কমলছড়ি পাড়া পর্যন্ত পাঁকা রাস্তা নির্মান।
দুটি রাস্তা প্রায় ২ কোটি করে ৪ কোটি বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। এ রাস্তা দুটি নির্মানের জন্য কাজ পায়, লিটন ইন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রকৃত মালিক হচ্ছেন রফিকুল আলম লিটন।
সরেজমিনে পরির্দশন করে দেখা গেছে, রাবার বাগান হতে পাইন্দং পাড়া, শশ্মান ঘাট যাত্রা ছাউনি হয়ে তরগুমুখ পাড়া রাস্তা নির্মান বিন্দুমাত্র হয়নি। তরগুমুখ পাড়া বাসিন্দা ইসলামপুর বাজারে ফার্ম্মেসী দোকানদার ক্রইচিংমং মারমা বলেন, রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করার জন্য দামী মোটর সাইকেল নিয়ে অনেকজন লোক আসা-যাওয়া করছে জানি। কিন্তু এখনো কোথাও কাজ শুরু করতে পারেনি। এ পাইন্দং পাড়া প্রধান কারবারী মংচখয় মারমা জানিয়েছেন, আমাদের গ্রামের রাস্তা তরুগু মুখ ছড়ার উপর কালভার্ট কোথাও সলিন কোথাও পাঁকা রাস্তা প্রায় ৩ বছরের আগে নির্মান করা হয়েছে । জেলা পরিষদ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা এই রাস্তাটি পাঁকা নির্মানের জন্য অনেক লোকজন সরেজমিনে ঘুরে গেছে জানতে পারি। এখনো নতুন কোন রাস্তা নির্মানের কাজ মুখ দেখতে পারেনি।
প্রসঙ্গত এদিকে ইসলামপুর বালুমুড়া হতে কেচি পাড়া হয়ে কমলছড়ি রাস্তা পাঁকা নির্মান বিষয়ে আওয়ামী লীগ দলের সাধারণ সম্পাদক পুচিংমং মারমা জানান, আমার বাল্য নিজ জন্ম ভূমি গ্রামের বাড়ী কমলছড়িতে।
এই ধরনের রাস্তা নির্মান হয়ে থাকলে আমি অবশ্যই আগে খবর পেত। এই রাস্তা নির্মান বিষয়ে তিনি কিছুই অবগত নয়। ইসলামপুর বাজার এলাকায় বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওর্য়াডে সাবেক সদস্য মো. মোতালেব হোসেন প্রতিবেদককে জানান, বিগত কয়েক বছর আগে রাস্তা নির্মান কাজ হয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন আগে থেকে কোন এখনো সেখানে এপর্যন্ত উন্নয়নের বাস্তব চোখে কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসী পক্ষে হতে জানা যায়।