শনিবার, আগস্ট ১৬, ২০২৫

রাজস্থলীতে বাংগালহালিয়া স্থানীয়রা অধিকাংশ মাস্ক ব্যবহার সচেতন নাই

আপডেট:

নিজস্ব প্রতিনিধি,
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলাতে বাংগালহালিয়া স্থানীয়রা প্রায় অধিকাংশ লোকের মাস্ক ব্যবহারে সচেতন নাই ও ঠিক মত মাস্ক পরিধান দেখা যায় না। এতে( ২৭ ইং জুন শনিবার) সকালে এলাকায় বিভিন্ন প্রা ন্তে সরেজমিনে ঘুরে এসে দেখা যায়, মূলত বেশির ভাগ জনকেন্দ্রীক স্থান বাংগালহালিয়া হাঁটবাজার অধিকাংশ সাধারন জনগন নিত্য পণ্য ক্রয় করতে আসা ব্যক্তিদের মাঝে ও মাস্ক পরিহিত অবস্থা দেখা যায় না। অন্যদিকে কিছু কিছু খুঁচরা দোকানদানরা সঠিকভাবে ভাইরাস হতে প্রতিরোধে জন্য তেমন মূখে মাস্ক ব্যবহার না করে বিভিন্ন নিত্য পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। এবং অধিকাংশ দোকানে সামাজিক দুর ত্ব বজায় না রেখে বিভিন্ন সামগ্রিক বেঁচা কেনা করছে। এতে যেকোন সময় পুরো এলাকায় কোভিড-১৯ রোগে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং স্থানীয়রা ঝুঁকিতে ও আতংকের বসবাস করছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রবীন নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক প্রতিবেদককে জানান,এভাবে দীর্ঘদিন মাস্ক ব্যবহার ছাড়া সামাজিক দুর ত্ব বজায় না রেখে দোকানদার রা বেঁচা কেনা করলে ও সাধারন পাবলিকরা বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরা ফেরা করলে যেকোন মুর্হুতে বড় ধরনের পুরো এলাকায় মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঝুঁকি সম্ভবনা বেশি দাঁড়াবে। উল্লেখ্য কিছু কিছু খুঁচরা ব্যবসায়ীরা এই মহামারী সুযোগে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র উর্দ্বেগতি চড়া দামে বিক্রি করছে বলে সূত্রে জানা যায়।অন্যদিকে স্থানীয় প্রশাসন নির্দেশ দিলেন প্রতিটি মুদি দোকানে দৈনন্দিন দ্রব্য মূল্যে চার্ট তালিকা বাইরে টাঙানো রাখানো জন্য বলা হলে ও তেমন মুদি চার্ট দোকানে চোখে পড়েনা। এক খুঁচরা মুদি দোকানদার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক প্রতিবেদককে জানান,মাঝে মধ্যে মন চাইলে দৈনন্দিন দ্রব্য মূল্যে চার্ট তালিকা টাঙানো বাইরে রাখি আবার মন না চাইলে ভেতরে না দেখার জায়গা রাখছি। তাকে এ বিষয়ে যখন প্রশ্ন করি, সঠিকভাবে উক্ত র না দিয়ে এরিয়ে চলে এবং এত কিছু বলতে পারবনা বলে সাংবাদিককে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত কেউ কেউ রাস্তাঘাটে অপ্রয়োজন ছাড়া অযথা ঘুরেফেরা করছে, এবং মাস্ক ইচ্ছাকৃত ব্যবহার করছেনা। আবার কিছু কিছু চা দোকানে বসে সামাজিক দুর ত্ব বজায় না রেখে জড়ো ভাবে আড্ডা দেখা যায়। যা স্থানীয় প্রশাসন ভাবে বার বার বলার পর ও কেউ বা প্রশাসনকে গুরুত্ব পাত্তা না দিয়ে এধরনে চলতে দেখা যায়। এটা একটা আইনগত অপরাধী, এখন বর্তমানে সারাদেশব্যাপী জুড়ে সহ পার্বত্য চট্রগ্রামে রাংগামাটি জেলায় দিন দিন করোনা রোগী বৃদ্ধি বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে ১০ টি উপজেলাতে ৬টি উপজেলায় কোভিড-১৯ রোগ প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ১০টি উপজেলার বাকি ৪ টি মধ্যে যেমন, রাজস্থলী উপজেলার , করোনা রোগী একটু কম সংক্রামক দেখা যায়। এসব এলাকাতে ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা তৃনমূল পর্যায় ব্যবসায়ী কাজে অাসা যাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে। একদিকে অত্র এলাকায় বহিরাগত বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা প্রায় চলাচল করে থাকলে ও পুরো স্থানীয়দের মাঝে এরোগে আতংক সৃস্টি ভয়ে দিন কাটাচ্ছে। এ মহামারীতে এতে বিভিন্ন কাঁচা তরকারীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র একটু দাম বৃদ্ধি দেখা যায়। কেউ মহামারী সুযোগে খুঁচরা ও পাইকারী কিছু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভে পণ্য বিক্রি করতে চাই। একজন খুঁচরা মুদি দোকানদার নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বলেন, চট্রগ্রাম শহর হতে ব্রোকার পাইকারী কাছ হতে একটু বেশী দামে পণ্য কিনা লাগে। তাই এখন বর্তমানে দাম বেশি দিয়ে বিক্রি করা লাগে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এব্যাপারে বাজার পণ্য দাম নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন নিকট কাছে মোবাইল কোর্ট মাধ্যমে পরিচালনায় করার জন্য দাবী স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় নির্দেশে জারী করেন বিভিন্ন ধুম পান বিক্রি ও ধুমপান ব্যবহার করা নিষিদ্ধ থাকার পর ও বাংগালহালিয়া বাজারে প্রকাশ্য ভাবে কেউ কেউ গোপনে বিড়ি সিগারেট বিক্রি করছে এবং দোকানে বসে রাস্তাঘাটে সাধারন ব্যক্তি ধুমপায়ীরা বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে সিগারেট পান করে যাচ্ছে যা আইনগত অপরাধ। এই ধুম পান কারনে ১ জন জন্য দশজন কাছে সহজে দ্রুত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সহজ উপায়। এ বিড়ি সিগারেট বিক্রি বন্ধসহ খাওয়া বন্ধ করা না গেলে ভবিষৎতে পুরো এলাকায় ধোঁয়া পরিবেশের ভাইরাস এরোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অন্যদিকে এখানে স্থানীয় লোকরা এই রোগের উপর সচেতনতা অভাব দেখা যায়। কেউ কেউ মনে করছে এটা একটা সাধারনত ভাইরাস রোগ হিসেবে মনে করছে। স্থানীয়দের মাঝে ও এখনো ধ্যান্ত ভূল ধারণা অনেকে কাছে রয়ে গেছে। কিছু কিছু লোকে দেখা যায়,প্রশাসনও আইন শৃংখলা বাহিনী লোক দেখলে মাস্ক পরিধান করছে আবার আইন শৃংখলা বাহিনী লোক চলে গেলে মাস্ক ব্যবহার না করে পকেটে রেখে মূখে কোন মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায় না, যা বর্তমানে চোখে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সকলে ঝুঁকিতে বাস করছি। যেকোন মূর্হুতে বড় ধরনের করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে তখন কারো করার কিছু থাকবে না বলে এক প্রবীন ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান।

বিজ্ঞাপন

বাংগালহালিয়া বাজারে জীবাণুনাশক প্রতিরোধে স্যানিটাইজার স্থাপন দেখা যায় না। সামাজিক দুর ত্ব না মেনে বেঁচে কেনা চলছে। পাহাড়ে প্রতিটি গ্রামে সাধারন মানুষরা ও মাস্ক ব্যবহার করতে তেমন চোখে পড়েনা। কেউ বা ইচ্ছাকৃত মাস্ক ব্যবহার করছেনা।এই রকম যদি প্রতিটি পাহাড়ঞ্চলে মাস্ক বিহীন লোক গ্রামে চলাফেরা করলে যেকোন মূর্হুতে সামনে ব্যাপক হারে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ে সাধারন লোকে আক্রান্ত হতে পারে।

স্থানীয় অনেক সচেতন মহল ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক রা বলেন, গ্রামে মহল্লা পাড়াতে নিকস্ট প্রশাসন কর্মকর্তা ও আইন শৃংখলা বাহিনীরা যথাযথ মনিটরিং তদারকি করা বিশেষ প্রয়োজন । যারা বাইরে অবস্থানরত বিভিন্ন পেশাজীবি রা তারা নিজ গ্রামে আসলে কোয়ারেন্টেন রাখা জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে খবর দিন। এমনকি হাঁট বাজারে জরুরীভাবে জীবাণুনাশক স্যানিটাইজার স্থাপন করা জরুরী হয়ে পড়ছে। তাই সকলে করোনা ভাইরাস রোগে সচেতন হতে হবে, এবং স্বামাজিক দুর ত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। প্রতিটি ব্যক্তি বাইরে গেলে মাস্ক গ্লাবস অবশ্যই পরিধান করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত