চাইথোয়াইমং মারমা রাজস্থলী, প্রতিনিধি:
পাহাড় সবুজ ঘেরা নদী খাল বিল পর্বত লীলা ভূমি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যতম দূর্গম এলাকা রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলার এক দূর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়ন। সূত্র জানা যায়, জুরাছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অত্যান্ত দূর্গম পাহাড়ি এলাকা অবস্থিত। উপজেলার এই ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি লোক জনসংখ্যা বসবাস এবং এ উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে প্রায় ১৭ টির বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এসব বিদ্যালয় গুলোতে ও নেই কোন নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা নেই কোন গভীর নলকূপ। তবে ইউনিয়নের বসবাসরত সাধারণ স্থানীয় জনগনের নিরাপদ পানির কোন ব্যবস্থা নেই। একমাত্র উপায় হলো কুয়া থেকে বা ছোট ছোট ঝর্না থেকে পানি সংগ্রহ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এতে
বিশেষ করে চলিত বর্ষা মৌসুমে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় সুপেয় পানির খুবই অভাব থাকে।
একটু বৃষ্টি হলেই কুয়ার পানিগুলো অপরিস্কার ময়লা অাবজর্না ভরপুর থাকে এবং ঘোলাতে হয় এবং পানিগুলো পান করা নিরাপদ নয়। যার কারনে সেখানে শিশুরা বিভিন্ন সময়ে ডাইরিয়া, থাইফয়েদ , জন্ডিস সহ নানা প্রকার পানিবাহিত দুরারোগ্য প্রাদূর্ভাব দেখা দেয় এবং পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। অনেক সময় অনিরাপদ পানি পানের ফলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় সেখানে গভীর নলকূপ কম থাকায় পানি সংগ্রহে দূর্বিসহ পাহাড়ীরা করুন কঠিন জীবন যাপন করছে। এখনো পর্যন্ত ঐসব গ্রামগুলোতে সরকারী ভাবে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়নি। কোন গ্রামেই সরকারী ও বেসরকারীভাবে কোন স্থাপন এমন গভীর নলকূপ দেখা যায়নি। এখন কয়েকটি পাতকুয়া অনেক দিন আগেই পানি শুকিয়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানকার মানুষের একমাত্র কষ্টের মূল উৎস ঝর্না থেকে বা কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করা। সেখানে এক একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০০-২৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে যেতে হবে। যার এক একটি খরচ পড়বে ২-৩ লক্ষ টাকা। কারন সেখানে খরচ বেশি লাগে এই কারণে রাঙামাটি জেলা শহর থেকে বোট যোগে সে ইউনিয়নের যেতে প্রায় দুই থেকে তিন দিন লাগে। একমাত্র যা বরকল উপজেলার ঠেগামুখ হয়ে যেতে হয় ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদী পথে।
এসব মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় অবশ্যই পৌছিয়ে দেওয়া সম্ভব।
এক বিশেষ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের বগাখালী গ্রামে নামক একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে।
এ দুমদুম্যা ইউনিয়নের বিদ্যালয় গুলোতে জরুরী ভাবে সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা জরুরী প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাছে দৃষ্টি আর্কষণ করছি। দুমদুম্যা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা রা খুবই পানীর তীব্র সংকট এ জনদুর্ভোগ হতে পরিত্রাণ পেতে চাই এবং স্থানীয় রা গভীর নলকুপ স্থাপনের জন্য দ্রুত জোরালো দাবী।