তাহমিদ লিয়াম,
২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গাজী গ্রুপের মালিকানায় দেখা যাবে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম’-কে। ৫ দল নিয়ে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের প্লেয়ার্স ড্রাফটসও গত বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়ে গেছে। প্রতিটি দলই ড্রাফটস থেকে ১৬ সদস্যের দল চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
জাতীয় দলের নিয়মিত কিছু ক্রিকেটারকে নিয়ে দল গড়েছে চট্টগ্রামের স্থানীয় দলটি। দলে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে নেওয়া হয়েছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানকে। এছাড়াও স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান লিটন দাশও ওপেন করবেন চট্টগ্রামের হয়ে। তার ওপেনিং পার্টনার নিজেকে হারিয়ে ফেলা সৌম্য সরকার। মিডল অর্ডারে সামলাবেন জাতীয় দলের হয়ে নিয়মিতই খেলে যাওয়া মোহাম্মদ মিথুন।
দিন কয়েক আগেই স্বস্ত্রীক করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়া জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কক্সবাজারের মমিনুল হকও জায়গা পেয়েছেন এই দলে। আছেন টেস্ট দলের আরেক অপরিহার্য বাহাতি অফস্পিনার তাইজুল ইসলামও।
একসময় জাতীয় দলের হয়ে খেলা অভিজ্ঞ শামসুর রহমান ও জিয়াউর রহমানদেরও দেখা যাবে এই দলের হয়ে খেলতে।
যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়, পেসার শরিফুল ইসলাম ও বাহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানকেও নিয়েছে চট্টলার দলটি।
১৬ সদস্যের দলে আরও আছেন মোসাদ্দেক হোসাইন, সৈকত আলী, নাহিদুল ইসলাম, সাঞ্জিত সাহা ও মেহেদী হাসান।
তবে চট্টলার কৃতি সন্তানদের কেউ-ই নেই এই দলে। তামিম ইকবাল, ইরফান শক্কুর কিংবা যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পারভেজ হোসাইন ইমনদের নিয়েছে ফরচুন বরিশাল; অন্যদিকে অফস্পিনার নাঈম হাসান ও ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বি, পিনাক ঘোষ ও যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের আরেক অপরিহার্য সদস্য শাহাদাত হোসাইন দিপুকে নিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা; এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের পেসার হাসান মাহমুদ ও শামিম হোসাইনকে নিয়েছে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের নিয়ে গড়া কাগজে-কলমে আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দল জেমকোন খুলনা।
চট্টগ্রাম বিভাগের নামি-দামি সব ক্রিকেটারদের অন্য দলের হয়ে খেলতে দেখে আফসোস করতেই পারেন চট্টগ্রামবাসী।
আগামী ২৬ নভেম্বর বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের অভিযান শুরু করবে চট্টগ্রাম। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টির ফাইনাল ১৮ ডিসেম্বর।