জাবেদ ভূঁইয়া, মিরসরাইঃ
মিরসরাইয়ে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে মসজিদে ঢুকে মুসল্লীকে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর নাম নুরচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা। আমেরিকা প্রবাসী নুরচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা। শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ৫ নম্বর ওচমানপুর ইউনিয়নের বাঁশখালী এলাকার মাজহার উল্লাহ মুহুরী বাড়ি জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী মুসল্লী এস এম শহীদ বলেন, অন্যান্যদিনের মত শনিবার জোহরের নামাজ পড়ার জন্য আমি মাজহার উল্লাহ মুহুরী বাড়ি জামে মসজিদে যাই। মসজিদে প্রবেশ করার সময় দেখি পূর্ণিমা নামের ওই মহিলা অশ্লীল ভাষায় কাউকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করছে। এসময় আমি তাকে নামাজের জামায়াত শুরু হচ্ছে বলে সেখান থেকে সরে দাঁড়াতে বলি। এরপর আমি মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলে সে মসজিদের সামনে থাকা জুতা আমাকে ছুড়ে মারলে জুতা মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে সে মসজিদের ভেতরে ঢুকে জুতা দিয়ে আমাকে বেদড়ক মারধর করতে থাকলে অন্যান্য মুসল্লীরা এগিয়ে এসে তাকে নিভৃত করে। আমি তার যথোপযুক্ত বিচার চাই।
মাজহার উল্লাহ মুহুরী বাড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও নিয়মিত মুসল্লী খোরশেদ আলম বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার জীবনেও দেখিনি। ওই মহিলা মসজিদে ঢুকে শহীদ নামে এক মুসল্লীকে জুতা দিয়ে মারধর করে। এরপর আমরা এসে তাকে নিভৃত করি। মহিলা হওয়ার কারণে সকল মুসল্লীকে সংযত থাকতে হয়েছে। ওই মহিলার উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
এই বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫৪ মিনিটে মুঠোফোনে নুরচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করে জুতা দিয়ে কাউকে মারধর করিনি বরং শহীদ নামে ওই ছেলেটি আমাকে ধাক্কা দেয়। মুসল্লীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা সবাই দলবল নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাবার বাড়ি দখল করে রাখছে। পরে কথা বলবে বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালে পূর্ণিমা নামে এক মহিলা তার বাবার বাড়িতে বহিরাগত কিছু লোক জড়ো হয়েছে বলে আমাকে ফোন দেয়। আমি পুলিশের একটি টিম ওই বাড়িতে পাঠাই। পরে উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে পাঠাই এবং বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে বলে জানতে পারি। তাই উভয় পক্ষকে কোন ঝামেলায় না জড়াতে পরামর্শ দিয়েছি। কোন মুসল্লীকে জুতা দিয়ে পেটানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।