সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

মাষ্টার আব্দুর রহিম একজন মানবিক চেয়ারম্যান

আপডেট:

এম এ সাত্তার, কক্সবাজার:
আলহাজ্ব মাষ্টার আব্দুর রহিম। ককসবাজার সদর উপজেলার ৮ নং পিএমখালী ইউনিয়নের জনগণের ভোটে ৩ বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান।

মাষ্টার আব্দুর রহিম সম্ভবত ১৯৯৭ সালে প্রথম ইলেকশন লড়েছিলেন।সেই সময় ধরে দেখে আসছি আবদুর রহিম সাহেব এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে রক্তের বাঁধন হয়ে। ইউনিয়নবাসীও রহিম সাহেবকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার চোখে দেখেন। এ শ্রদ্ধা ভালবাসার চোখে দেখার কিছু কারণ রয়েছে। তিনি মানুষের এই শ্রদ্ধা ভালবাসা একদিনে পাইনি। যুগযুগের পরিশ্রমের ফলে আজ সে পরিণত হয়েছেন ভালবাসার পাত্র বা ব্যক্তি হিসাবে। তাঁর বিশেষ কিছু আলোচিত দিক রয়েছে,যা অন্যদের মোকাবেলায় তিনি-ই সেরা। যাঁর মধ্যে রয়েছে গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি (চেয়ারম্যান) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলার আপামর জনতার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাস্টার আব্দুর রহিম।

বিজ্ঞাপন

তিনি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি, তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম কাজে সফলও হয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি আজ কক্সবাজার সদর উপজেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি প্রবীন নয়। তিনি অনেক নবীণ। তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি নেই। এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। যে কারণে তাঁকে সরকার স্বর্ণ পদকে ভূষিত করে সততার মূল্যয়ন করেছেন। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবক মাস্টার আব্দুল রহিম।

ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়।কাজ করছেন সমাজ এবং দেশের জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। বয়সে প্রবীন হলেও তিনি মনোবল হারাননি। এই সফল মানুষটি এলাকার প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান।এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা চেয়ারম্যান বুঝিনা। আব্দুর রহিম ভাই একজন ভাল মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার গরিব মানুষের উপকার হয়। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়।ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং সর্বজনীন নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।

নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন পিএমখালী ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম। তিনি ৩ য় বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরপরই প্রিয় ইউনিয়নকে উন্নয়নের মাষ্টার প্লানের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। মেধা, মনন, কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজের মধ্যে গড়েছেন এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি এবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এলাকা পরিদর্শনকালে পিএমখালী ইউনিয়নবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, পিএমখালী ইউনিয়নের বর্তমান জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী দানশীল ও মেধাবী মানুষ। যার ফলে এলাকাবাসী তাকে পিএমখালী ইউনিয়নে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে মাস্টার আব্দুর রহিম ইউনিয়নের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন একাধারে। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়নসহ স্কুল,মাদ্রাসা,কবরস্থান, মসজিদ, মাঠ সংস্কার করে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের আস্থা কুড়িয়েছেন। গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করে যাচ্ছেন যা এখনও চলমান আছে।

আগামী দিনে পিএমখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে ইউনিয়নে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইউনিয়নকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

তারপরও বলা যায় না যে, চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিমের শত্রু নেই! আমরা এটাও জানি ভালো মানুষের পিছনে অনেক দূর্বলতার সুযোগ সন্ধানী থাকে। সত্যের সন্ধানীরা এসব দিক নিয়ে মুঠেও চিন্তিত হন না। মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এসব মানুষেরা একটাই চিন্তা করে কিভাবে মানুষের ভালবাসা আদায় করা যায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত