নিজস্ব প্রতিনিধি,
পরিবর্তনের শক্তিশালী নেতৃত্ব নারী। নারীর বিচক্ষণতা ও সুদূরপ্রসারী ভাবনা নাড়া দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের মূর্ত প্রতীক নারী। সিদ্ধান্তে অটল ও অবিচল। তাই আজ বিশ্ব অঙ্গনে নারীর প্রতিনিধিত্বকে দেখা হচ্ছে নতুন করে। ভাবনায় এসেছে এক অলঙ্ঘনীয় পরিবর্তন।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীরা তাদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখেই চলেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে নারী তার অবস্থানকে আরো শক্ত ও দৃঢ় করেছে। ২০২০ সাল গোটা বিশ্বকে থমকে দিয়েছে করোনা ভাইরাস, যা কোভিড-১৯ নামে পরিচিত।
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগী। এই পরিস্থিতিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারী হাসপাতালসহ বেসরকারি সব হাসপাতাল। তার মধ্যে মধ্যে রয়েছে নানান রকম চিকিৎসা সামগ্রী সংকট। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কিছুটা সাহায্যের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য ব্যক্তি বিশিষ্ট সমাজসেবক ব্যারিস্টার সাইফুদ্দীন আহমেদ সিদ্দিকী ও আমির হোসেন দোভাষ এর সুযোগ্য নাতনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং নারী উদ্যোক্তা রুশি জাহান চট্টগ্রামের এবং দেশের বাইরে থাকা কিছু নারীদের নিয়ে গড়ে তুলেন একটি সংগঠন যে সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে InThisTogether এই নামকে সামনে রেখে নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে আর্থিক এবং চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
InThisTogether এর উদ্যোক্তা রুশি জাহান বলেন, আমরা সবাই জানি, কেবলমাত্র আমরা নয় গোটা বিশ্ব ইতিহাসের মহাকর্ষীয় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং আমরা এই কোভিট-১৯ মহামারী মোকাবিলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের স্বাস্থ্য খাত ভেঙে যাওয়ার পথে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে, আমাদের দেশে ফেরত দেওয়ার সময় এসেছে! আমি আপনাদের সকলকে এই উদ্যোগের অংশ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যেহেতু আপনার সামান্য অবদানের ফলে একটি বড় পার্থক্য আসবে। আসুন এটি একসাথে লড়াই করি এবং বিজয়ী হয়ে বেরিয়ে আসি। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি এবং প্রার্থনা করি যে এই সংকট শীঘ্রই শেষ হবে।
তিনি আরো জানান, আমরা চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালকে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি এবং অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েছি। আগ্রাবাদ গোসাইলডাংগা এলাকায় একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যাংক করেছি। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম হলি ক্রিসেনট এবং জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারেদের জন্য খাবার ও ফলের বিতরণ করেছি। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাই ফ্লো ক্যানোলা ১০০ পিক্ক মাস্ক এবং ১০০০ গ্লাভস দিয়ে সহযোগিতা করেছি। কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে হাই ফ্লো ক্যানোলা দেওয়া পরিকল্পনা করা হয়েছে।
করোনা মহামারী শিথিল না হওয়ায় পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমি সকল বিত্তবানদেন অনুরোধ করবো আপনারা যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসুন এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।