বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

আপডেট:

মাসুদা আকতার তিশা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ ৭ই এপ্রিল।বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে আটটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রচার মূলক কাজ করে থাকে, তার অন্যতম হল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।”স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল”।

ভয়াবহ ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গোটা বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে, সংকটাপূর্ণ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন, এমনই এক বৈশ্বিক দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আজ (৭ এপ্রিল) ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।

বিজ্ঞাপন

এ দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। সে দিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।

১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়।১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হয়। এই দিন ” বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ” বলে নির্ধারিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৫০ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে। এই দিনটিকে পৃথিবীর বহু দেশ এবং বহু অসরকারি সংগঠন পালন করে থাকে। মূলত জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি কাজে লাগানো হয়।

বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর এখন সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মধ্যে যাচ্ছে করোনা মহামারীর কারণে।

“ভাল স্বাস্থ্যই সুস্থ ও সতেজ জীবনের চাবিকাটি”। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সাধারণ মানুষের ভাল স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বাধা যেমন দারিদ্র, তেমনই আর একটি প্রধান বাধা সচেতনতার অভাব।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা এমন একটি বিষয়, যার উপর একটি দেশের মানব সম্পদ অনেকাংশে নির্ভরশীল। নাগরিকের সুস্বাস্থ্যের অভাব দেশের উৎপাদনশীলতা কমে, কমে যায় উন্নয়নের গতি।তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের গুরুত্ব এখানেই।যেখানে স্বাস্থ্যের ভালো এবং উন্নতির কথা বলা হয়।একই সাথে বিভিন্ন ফেস্টুন ব্যানার ও আলোচনা সভা হয়।যার মাধ্যমে আমরা সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত