তাহমিদ লিয়াম,
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে একবারে উঠতে পারলো না গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। লিগ স্টেজের ৮ ম্যাচের ৭টিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানে থেকেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে জেমকন খুলনার মুখোমুখি হয়েছিল চট্টগ্রাম। কিন্তু ৪৩ রানের হারে আজ তাদের খেলতে হয়েছে বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে সেকেন্ড কোয়ালিফায়ারে। সেখানে অবশ্য অনায়াসে জয়ে পেয়ে যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠে গেল বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
এদিন আগে ব্যাট করে ২০ ওভার খেলেই ১১৬ রানে অল আউট হয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের দল৷ ১৮ বলে ২৫ করেন আল-আমীন জুনিয়র। আল-আমীনের সমানসংখ্যক রান করতে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম খেলেন ৩১ বল। তাছাড়া চট্টগ্রামের সন্তান ইয়াসির আলী করেন ২৪ রান। এর বাইরে ঢাকার হয়ে বলার মতো আর কেউই কিছু করতে পারেনি৷
চট্টগ্রামের পক্ষে ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন আসরের সবচেয়ে সফল বোলার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া ২ উইকেট নেন আরেক পেসার শরিফুল৷ নাহিদুল, রাকিবুল, সৌম্য, ও মোসাদ্দেকররা নেন ১টি করে উইকেট।
জবাবে হেসে খেলেই রান তাড়া করে জিতে যায় চট্টলার দলটি। এদিন সামান্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি রাজধানীর দলটি। সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৭ করে ফিরে গেলেও পুরো আসর জুড়েই ধারাবাহিক লিটন দাশ ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টলার দলটি।
১১৭ রানের সহজ লক্ষ্য হওয়ায় কোনপ্রকার ঝুঁকি নিতে চায়নি চাটগাঁইয়ারা। ৪৯ বলে ৪০ করে ঢাকার হয়ে ব্যাট হাতে সফল আল-আমীন জুনিয়রের অফস্পিনে কাটা পড়েন লিটন দাশ। দল জয় পেতে তখন মাত্র ১৬ রান দূরে ছিল। ৩৫ বলে ৩৪ করে মুক্তারের বলে সাব্বিরের দারুণ ক্যাচে আউট হয়ে যান অধিনায়ক মিথুন।
বাকি পথটা অবশ্য কোনরকম বিপদ ছাড়াই পাড়ি দেন শামসুর ও মোসাদ্দেক। ৯* করেন শামসুর। ম্যাচসেরার পুরুষ্কারটি উঠে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে৷ ৭ উইকেটের এই হারে আসর থেকে ছিটকে গেলো ঢাকা। সেই সাথে লিগ স্টেজে একমাত্র হারা ম্যাচের প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেলো চট্টগ্রামের৷
১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪ঃ৩০ মিনিটে ফাইনালে মাহমুদউল্লাহ-মাশরাফির সেই খুলনার বিপক্ষে মাঠে নামবে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। তবে শ্বশুর অসুস্থ হওয়ার কারণে আমেরিকায় ফিরে যাওয়ায় ফাইনাল ম্যাচে খুলনার হয়ে মাঠে দেখা যাবে না সাকিব আল-হাসানকে।