বুধবার, আগস্ট ১৩, ২০২৫

পথশিশুদের নিয়ে ভিন্নধর্মী বিজয় দিবস পালন করল দূর্বার তারুণ্য!

আপডেট:

নিজস্ব প্রতিবেদক,
বিজয় কারো জন্য অতি আনন্দের আবার কারো জন্য বন্ধের দিনে ১ মুঠো ভাত জোগাড় করার সংগ্রাম। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষেরা নানাবিধ আয়োজনের মাধ্যমে বিজয় দিবস পালন করে থাকেন। কিন্তু সমাজে যারা পথশিশু আছে তাদের তো মা-বাবা নেই! তারা তো শুধু জানে বিজয় দিবস মানে বড়লোকের বাচ্চাদের মাথায় পতাকা ও হাতে চরকা নিয়ে আনন্দ ফূর্তি করা। তাদের কাছে এ আনন্দ স্বপ্নের মতো।

বিজয়ের ৫০ তম বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণশ্য এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ বাস্তবায়ন করলেন এক ভিন্নধর্মী উদ্যোগ।

বিজ্ঞাপন

নেমে পড়লেন একদল তরুণদের নিয়ে এবং সিদ্ধান্ত নিলেন এবারের বিজয় দিবস দূর্বার তারুণ্য সমাজের অসহায় ও দুঃস্থ পথশিশুদের সাথে নিয়ে পালন করবেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দূর্বার তারুণ্য থেকে “বিজয়ানন্দ” নামে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করা হয়। এসময় পথশিশুদের মাঝে বিজয়ের আনন্দ সামগ্রী উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। তাদের নিয়ে কেক কেটে বাংলাদেশের জন্মদিন পালন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজয়ানন্দ প্রজেক্টটি উদ্ভোদন করেন দূর্বার তারুণ্য এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ।

দূর্বার তারুণ্যকে দেখে এসময় পথশিশুদের মধ্যে একজন বলে উঠে, “অর তো আব্বা, আম্মা আছে, তাই অর মাতায় বাংলাদেশের পতাকা, হাতে বিজয়ের চরকা, আমার তো বাপ- মা নাই, তা-ই আমাগো বিজয়ের আনন্দ নাই।”

তারা হয়তো জানে না বিজয় দিবস কি? তবে এ কথায় বুঝা যায় বিজয়ের প্রতি তাদের আবেগ।

এসময় মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, “আমি প্রতিবছর অনেক জায়গায় বিজয় দিবস পালন করেছি। অনেক অনুষ্ঠানে গিয়েছি। কিন্তু এরকম আনন্দ কখনও পাই নি। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ প্রজেক্ট করার চেষ্টা করব। এক পথশিশুর মুখের কথা অনুযায়ীই আমি এ প্রজেক্টের নাম দিলাম ‘বিজয়ানন্দ’।”

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক হৃদয় হোসেন মল্লিক, রিয়াজুল করিম রিজভী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সহ সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী মোবারক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুপ আল হাসান, উপ আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক এ আর তাইমুন, জেলা সাংগঠনিক কাইফ উদ্দিন, সদস্য মেহেরাজসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার অনেক নেতৃত্ববৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত