বৃহস্পতিবার, জুন ৫, ২০২৫

পতেঙ্গায় ট্রান্সফরমার নিয়ে আতংক,

আপডেট:

পতেঙ্গায় ট্রান্সফরমার নিয়ে আতংক, তারের ঝুঁকিতে ৫০০ পরিবার মাসে বিদ্যুৎ থাকে ১৫ দিন!

মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যাবল ও অতিরিক্ত লোড নেওয়ার কারণে প্রতি তিন দিন পর পর বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। প্রায় সময় ট্রান্সফরমারের বিকট শব্দ হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। এ কারণেই যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার বিজয়নগর এলাকার সি-ব্লকের ৫০০ পরিবার। এছাড়া তার একবার ছিড়ে গেলে সার্ভিস পেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিংয়ের কারণে তাদের জন-জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৮ সালে পোড়াপাড়া এলাকা থেকে সরকার অধিগ্রহণ করে বিজয় নগর এলাকায় ৫০০ পরিবারকে পুনর্বাসন দেয়। এলাকাটি এ, বি ও সি-ব্লকে বিভক্ত হলেও সে সময়ে সি-ব্লকে বসবাস করতো ২০০ পরিবার। বর্তমানে সি-ব্লকে বসবাস করছে প্রায় ৫০০ পরিবার। অথচ সেই আগের বিদ্যুতের খুঁটি, একটি ট্রান্সফরমার আর জোড়াতালি দিয়ে চলছে এসব সেবা। মাসের মধ্যে ১৫ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন থাকে। বিদ্যুৎ অফিসকে জানানোর পর সার্ভিস পেতে সময় লেগে যায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা।

জানতে চাইলে সি-ব্লকের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রতি সাত দিনে দুইবার করে ট্রান্সফরমার নষ্ট অথবা তার ছিড়ে যায়। তারগুলো অনেক পুরোনো। তার ছেঁড়া ও ট্রান্সফরমারের বিকট শব্দের জন্য সারাদিন আতংকে থাকি। বিষয়টি কয়েকবার মৌখিকভাবে জানিয়েছি। বিদ্যুতের টিএন্ডটি নম্বর ও মুঠোফোন প্রায় ব্যস্ত পাওয়া যায়। অনেকক্ষণ যাবৎ চেষ্টা করে লইন পাওয়া যায়। তথ্য দেওয়ার পর সেবক সার্ভিস লাইনম্যানের গাড়ি আসতে সময় লাগে ১০-১২ ঘন্টা। আমরা নিয়মিত বিল পরিশোধ করার পরও আমরা সেইভাবে সেবা পাচ্ছি না।

বিজ্ঞাপন

বিজয়নগর আলি ইবনে আবু তালিব জামে মসজিদের সেক্রেটারি আব্দুস ছাত্তার কন্ট্রাক্টর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, বিজয় নগরের সি-ব্লকে ৩-৪ দিন পর বিদ্যুৎ চলে যায়। মাসের মধ্যে ১৫ দিনও বিদ্যুৎ থাকে না। প্রতিদিন ৩-৪ বার লোড শেডিং হয়। এই তারগুলো মেয়াদ নেই। ৫০০ পরিবারের বিদ্যুৎ লাইন জন্য একমাত্র ট্রান্সফরমার। অতিরিক্ত লোডের কারণে বার বার তার ছিড়ে যাচ্ছে। তারগুলো বার বার ছিড়ে যাওয়ার কারণে যে কোন সময় অপ্রীতিকর দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন স্থানীয়রা।

বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ হালিশহর ডিভিশনে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪৭ হাজার, ২৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি, পাঁচটি গাড়ির মধ্যে সচল মাত্র একটি। একটি গাড়ি দিয়ে চলে পুরো হালিশহর ডিভিশনের সেবা।

এদিকে তিন সিপ্টে লাইনম্যান সেবা চালু থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহদের সার্ভিস দিতে দীর্ঘসময় লেগে যায়। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা একজন আরেকজনের ওপর দোষ চাপায়। বিজয় নগর সি-ব্লকের বিষয়টি গত ৪ মাস আগে কয়েকবার ইনচার্জকে নোট দেওয়া হয়েছে। কেন এ সমস্যাটা সমাধান করেন না সেটা ওনি বলতে পারবেন বলে জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই লাইনম্যান।

জানতে চাইলে হালিশহর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. গিয়াস উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বিজয়নগর সি-ব্লক এলাকায় ঘন ঘন ট্রান্সফরমার নষ্ট ও বিদ্যুতের তার ছিড়ার বিষয়টি অভিযোগ পেয়েছিলাম। দেখছি কি করা যায়। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত