পটিয়া প্রতিনিধিঃ
পটিয়ায় শতবর্ষী একটি পরিত্যক্ত পুকুর সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ক হাবিবুল হাসান।
জানা যায়, আজ বুধবার উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে শতবছরের পুরানো একটি পুকুর দুই পক্ষের বিরোধের কারণে এতদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। যার কারণে পুকুরের কচুরিপানা ও নানা ভাবে দখল আর দূষনের কবলে পড়ে দূর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। স্থানীয় একব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও পুকুরটি সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় , কোলাগাঁও ইউনিয়নের চাপড়া এলাকার লালমোহন কবিরাজ বাড়ির শতবছরের পুরনো একটি পুকুর বেশ কয়েক বছর ধরে দখল আর দূষনের যতাকলে পড়ে পরিত্যক্ত পুকুরে পরিনত হয়েছে। এ নিয়ে স্হানীয় রনজিত চৌধুরী এবং মনতোষ চৌধুরীর পরিবারের মাঝে চরম বিরোধের কারনে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন আছে । এমন কি উক্ত পুকুরের পানি পর্যন্ত ও যুগযুগ ধরে গ্রামবাসী ব্যবহার করলেও দীর্ঘ ৫ বছরের ও বেশী সময় ধরে পুকুরের পানি ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আজ ভ্রাম্যমান আদালতের বৈঠকের সময় পুকুরের অংশীদার রনজিত চৌধুরী সংগত কারনে উপস্থিত ছিলেন না। এসময় আরেক অংশীদার উত্তম চৌধুরী পরিত্যক্ত পুকুরটি সংস্কার করে পুকুরের পানি মানুষের ব্যবহারের উপযোগি করার অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসানকে।
এ ব্যাপারে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাবিবুল হাসান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন , শতবর্ষী এ পুকুরটি দুই পক্ষের বিরোধীতার কারণে এলাকার লোকজন পানি ব্যবহার করতে না পারা ও পুকুরের কচুরিপানা পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আজ সরেজমিনে গিয়ে বুঝিয়ে পরিত্যক্ত পুকুরটি সংস্কারের জন্য এক অংশীদারকে দায়িত্ব দিয়েছেন।এরপর আর কোন ব্যাতয় ঘটলে এতে সরকারিভাবে পুকুরটি লীজ দেওয়ার প্রক্রিয়া করবেন বলে সতর্ক করে দেন।