মঙ্গলবার, জুন ৩, ২০২৫

পটিয়ায় বিএনপি’র দৈন্য দশা, গাঁ বাঁচিয়ে চলছেন অনেকে

আপডেট:

কাউছার আলম, পটিয়াঃ
পটিয়া উপজেলায় বিএনপিতে এখন আর জৌলুস দেখা যায় না। আগে দলের স্থানীয় কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে পটিয়া কলেজ সংলগ্ন কার্যালয়ে ভিড় হলেও এখন আর তেমন কর্মী আসছেন না। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে চলে দলীয় কার্যক্রম। একটা সময় ছিল বিএনপির সাবেক সাংসদ গাজী শাহজাহান জুয়েল উপস্থিত থাকলে কর্মসূচিতে উপস্থিতি হাজার ছাড়াত।

এখন আর সেই দিন নেই। জুয়েল, এনাম কিংবা ইদ্রিস থাকুক আর অন্য নেতারা থাকুক বেশির ভাগ সময়ে দলীয় কার্যক্রমে উপস্থিতি শতকের নিচে ঠেকেছে। ১৩ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা নেতা-কর্মীরা পুরনো মামলা

বিজ্ঞাপন

থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা ছাড়াও নতুন ঝামেলার আশঙ্কায় গা বাঁচিয়ে চলছেন।

দুর্দিনে নেতাদের অসহযোগিতার কারণেও ঘরে ঢুকে পড়েছেন তৃণমূলের অনেক কর্মী-সমর্থক। অনেকে আবার অস্তিত্ব রক্ষাসহ নানাবিধ সুবিধা পেতে যোগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে।পটিয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জমির উদ্দিন বলেন, রাজনীতিতে ওইভাবে সক্রিয় নেই আবার আছেন। দেশে কোথাও রাজনীতি নেই। দলেও কার্যক্রম নেই।এই দলের ভবিষ্যৎ কী তা ভেবে পাচ্ছেন না।
বিগত পৌরসভা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের সময় অনেকে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন সিনিয়র নেতা । তারা বলেন, আওয়ামী লীগ অ্যাপ্রেসিয়েট না করলে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না। বিএনপির নেতৃত্বের ওপর অবশ্যই ক্ষোভ ছিল। ১৫-২০ বছর ছাত্রদল করার পরও যদি দলে পদ-পদবি কেনা লাগে, তাহলে সেই দল করে কী লাভ? তাই তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। সুযোগ-সুবিধা নিতে আওয়ামী লীগে যাননি এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, আওয়ামীলিগে বেশ কদর পাচ্ছেন বলে দাবি করেন।

এ দিকে বিএনপির বর্তমান দৈন্য চিত্র ফুটে উঠেছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১৮ জুলাই চট্রগ্রামের কাজির দেওড়ি বিএনপির সমাবেশে। ওই দিন আশানুরূপ লোকসমাগম হয়নি। তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে পটিয়ার বিএনপিতে।

২০১৩ সালে মফজল আহমদকে সভাপতি ও খোরশেদ আলমকে সম্পাদক করে পটিয়া উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। তিন বছর মেয়াদের কমিটির বয়স ছয় বছর অতিবাহিত হতে চললেও নতুন কোন কমিটি দিতে না পারায় হতাশা আরো বেড়ে চলছে। এ ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি নেতারা।

বর্তমানে পটিয়া উপজেলা বিএনপি তিন ভাগে বিভক্ত। একদিকে সাবেক সাংসদ গাজী শাহজাহান জুয়েল, এনামুল হক এনাম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত