পটিয়ায় ডিম নিয়ে চলছে প্রতারনা ও নাটকীয়তা।
ফার্মের সাদা ও ছোট ডিমকে দেশি মুরগির ডিম বলে বিক্রি।
গত বছর পটিয়ায় প্লাস্টিকের ডিম বিক্রি করার জন্য এক ব্যবসায়ীর জেল ও জরিমানা হয়েছিল।
এবার ঘটেছে ভিন্ন এক প্রতারণা। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী ফার্মের আকারে ছোট ডিম গুলোকেই দেশী মুরগির ডিম বলে বিক্রি করে আসছে।
শুক্রবার পটিয়া থানা হাটে একজন ক্ষুদে বিক্রেতাকে হাতেনাতে ধরেন এক ক্রেতা। সে উপজেলা বাটিখাইন স্কুলের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র দাবী করেন নিজেকে। ঘটনার স্বীকার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রবিউল হোসেন বলেন, একমাস আগে আমি পটিয়া থানার হাট থেকে আমি তিন ডজন ডিম কিনেছিলাম। প্রতিটি ডিমের জোড়া দাম ধরা হয়েছিল ২৪ টাকা করে। পরে বাসায় ডিম ভাঙ্গলে আমার সন্দেহ হয়। ফার্মের মুরগীর ডিমের সাথে এই ডিমের রং ও গন্ধের মিল রয়েছে এবং স্বাদেও অভিন্নতা পাওয়া যায়। বাজার থেকে আনা ডিমের সাথে দেশি ডিমের কেন মিল নাই বললে চলে। এতে আমার সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। দুই একবার ডিম বিক্রেতাকে খুজতে গিয়েও পাইনি। অতঃপর শুক্রবার সন্ধ্যায় ৪ ডজন ডিম সহ হাতেনাতে ধরে পটিয়া ক্লাব রোডের ব্যবসায়ীদের সামনে নিয়ে আসি। প্রথমে ডিম গুলো দেশি মুরগির ডিম বললে ও পরে জয় বিশ্বাস নামের এক ক্ষুদে বিক্রেতা জানান, তাকে ডিমগুলো একজন বিক্রি করতে দিয়েছেন। তার বাড়ি উপজেলার ভাটিখাইনে। আমি তার ডিমগুলো নিজের আয়ত্তে নিয়ে আমার পূর্বের টাকা ফেরত দিতে বলি। কয়েকজন ব্যবসায়ী তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলে এই সুযোগে সে ডিমগুলো রেখেই পালিয়ে যায়।
এই বিষে একজন ব্যবসায়ী জানান, একজন ছোট শিশুকে দিয়ে কিভাবে দেশী মুরগীর ডিম বলে ফার্মের মুরগীর ডিম বিক্রি করে ভাবতেই অভাক লাগছে। যারা আসল প্রতারক তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্হা করা প্রয়োজন। এতে প্রতারকরা ভয় পাবে আর সাধারণ মানুষেরাও প্রতারণা থেকে রেহাই পেতে পারে।