মুহাম্মাদ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামে চলছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। নিজ দায়িত্বে এসেও কর দিতে পারেননি অনেক করদাতা।
দূর থেকে এসে করদাতারা পোহাচ্ছেন নানা দুর্ভোগ এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে আয়কর মেলায় আসা করদাতাদের কাছ থেকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নতুন ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, রিটার্ন দাখিলসহ সব আয়কর সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয় এই মেলা।
মেলায় গিয়ে দেখা যায়, আয়কর মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে করদাতাদের ভিড় থাকলেও কর্মকর্তার সংখ্যা অনেক কম। হেল্প ডেস্কে ৬০ জন কর্মকর্তার সাথে কর অঞ্চল সব শাখার কর্মকর্তা থাকলেও করদাতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা।
অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান,আয়কর মেলায় সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা বুথ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগটা পাচ্ছি না। পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এই বয়সে এসে এমন আচরণ আশা করিনি। বয়সের সাথে যুদ্ধ করে আয়কর মেলায় এসে যদি এমন হয়রানি হতে হয় তার চেয়ে বড়ো দুঃখ আর কী আছে?
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা প্রবীণ কুমার বলেন,ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। কর দেওয়ার মত কেউ না থাকায় অসুস্থ শরীর নিয়েই কর মেলায় আসি। কারো সহযোগিতা তো দূরের কথা উল্টো হয়রানির শিকার হতে হল।
এ বিষয়ে রেঞ্জ-১ কর অঞ্চল-৩ চট্টগ্রাম
অতিরিক্ত কমিশনার হেমল দেওয়ান জানান,আশ্চর্যজনকভাবে আজকে করদাতার সংখ্যা একটু বেশি। আমাদের লোকবল সংকটের জন্য করদাতাদের একটু হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা আজকেই অতিরিক্ত লোকবল বৃদ্ধি করে সমস্যা সমাধান করব। সিনিয়র সিটিজেনদের হয়রানির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সাথে সাথে সিনিয়র সিটিজেন বুথে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জিইসি
কনভেনশন সেন্টারে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বারবারই উঠে এসেছে, মেলার মাধ্যমে সব স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় এবং দেশে চলমান মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা রাখার আহ্বান করা হয়।