নিজস্ব সংবাদদাতা,
চট্টগ্রামের বড়পুল ও দেওয়ানহাট পাখির বাজারে বন্যপাখি বিক্রির সময় বিক্রেতাকে আটক ও বন্য পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ৯ আগষ্ট (সোমবার) গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রাণীগুলো উদ্ধার করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।অভিযান শেষে ৮ টি শালিক পাখির বাচ্চা, ৫ টি টিয়া,১ টি বুলবুলি পাখি,১ টি ময়না ও ৩ টি মুনিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসময় বন্য প্রাণী উদ্ধারে সহযোগিতা করেছে চট্টগ্রামের ‘হালিশহর এনিম্যাল ওয়েলফার সোসাইটি’র’ সদস্যরা।
‘হালিশহর এনিম্যাল ওয়েলফার সোসাইটি’র’ হেড অব অপারেশন হাসান মাহমুদ আরাফাত বলেন, চট্টগ্রামের বড়পুল ও দেওয়ানহাটে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি পাখির দোকানে বন্য পাখি বিক্রি করা হয়। বিষয়টি বন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটকে অবহিত করলে সেখানকার পরিচালক জহির আকন বিষয়টি দ্রুত চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পরে বন বিভাগের রেঞ্জার ইসমাইল বন্য পাখি উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে আসেন।
হাসান মাহমুদ আরাফাত বলেন,প্রথমে বড়পুলে পাখির দোকানে অভিযান ও পরে নগরীর দেওয়ানহাটে আমাদের টিমের সদস্যরা ক্রেতা সেজে পাখির হাট থেকে বন্য পাখি উদ্ধারের কাজে সহযোগিতা করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটকে৷ সর্বশেষ গোপন সূত্র ধরে নগরীর লালখান বাজারের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে বন্য পাখি উদ্ধারের কাজ করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।এসময় পুরো মিশন টি নেতৃত্ব দেন নগরীর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ফোরকান।
এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক জহির আকন বলেন, বন্য পাখি কেনাবেচা ও পোষা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ‘টিয়া, ময়না, ইগল, মুনিয়া, শালিক ইত্যাদি বন্য পাখি কেনাবেচা ও পোষা দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকেই না জেনে শখ করে এগুলো পোষার জন্য বাসায় রাখে। এসব পাখি ক্রয়-বিক্রয় ও বাসায় বন্দি করে রাখলে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।’ প্রকৃতিতে বন্য পাখির সংখ্যা দিন দন নগণ্য হচ্ছে যা আমাদের পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। আমাদের এসব বন্য পাখি সংরক্ষণে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
বন্য পাখি উদ্ধার অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন হালিশহর এনিম্যাল ওয়েলফার সোসাইটি’র সদস্য হাছান মাহমুদ আরাফাত,সিদ্দুকুর রহমান রাব্বি,ফাইয়াজ নেহাল,আসিফুর রহমান প্রমুখ।