মাহফুজ আলম, কাপ্তাই:
কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য এলাকার সর্বত্রই গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাই এ বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলে মনে করছেন, কারন পানি নির্ভর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অবস্হান কাপ্তাইয়ে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রান হচ্ছে কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদের পরিপূর্ণ পানি। ফলে কয়েক দিনের টানা বর্ষনে -কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাই ব্যবস্হাপক এ- টি- এম আব্দু জ্জাহের এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করে বলে-রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে ২৩ জুলাই পানি থাকার কথা ৮৭.৩৬ ফুট মীন সী লেভেল (এম এস এল)। তবে বর্তমানে লেকে পানি রয়েছে ৮৯.১৭ ফুট এম এস এল। অনুসন্ধানে জানা গেছে
কাপ্তাই জল-বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫-ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে ৪টি। সেগুলো হল ১, ৩, ৪ ও ৫- ইউনিট, বর্তমানে এ সব ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাস্ত রয়েছে। এই ৪টি ইউনিট যতোটুকু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তাঁর মধ্যে ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪১ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪০ মেগাওয়াট, ৪-নম্বর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৩৬ মেগাওয়াট এবং ৫নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে মাত্র ২৫ পয়সা।
দেশের অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত। কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতি বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ৪ থেকে ৫ শ কোটি টাকা মুনাফা করে আসছে। দেশের বিদ্যুৎ খাতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনন্য ভূমিকার জন্য সরকার তথা জ্বালানী মন্ত্রনালয় সার্বক্ষণিক সু-নজর রাখছেন বলে পিডিবি সুত্রে জানা গেছে।