মাহফুজ আলম, কাপ্তাই:
কাপ্তাই উপজেলায় করোনা (কভিড – ১৯) রোগে এখনো পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের টিএইচও ডাক্তার মাসুদ আহমেদ চৌধুরী থেকে জানা গেছে।
এই উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়ন ও দুটি থানা রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে – ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ, ২নং রাইখালী ইউনিয়ন, ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন, ৪নং কাপ্তাই ইউনিয়ন ও ৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, এবং চন্দ্রঘোনা ও কাপ্তাই দুটি থানা। কাপ্তাই উপজেলায় প্রায় এক থেকে দেড় লাখ মানুষের বসবাস।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ২৬ জুন শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কাপ্তাই উপজেলার কোথাও করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়ে কেউ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি,। তবে করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন কিন্তু কোন রোগীর মুমূর্ষু অবস্থাও সৃষ্টি হয়নি।
এযাবৎ কাপ্তাই উপজেলায় সেনা বাহিনী, নৌ বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, পিডিবি- স্টাপ, হাসপাতাল স্টাফ, উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্টাফ সহ বিভিন্ন দপ্তরের লোকজন ও স্হানীয় জনগণ থেকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ গত তিন মাসে প্রায় প্রায় তিনশ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে, রিপোর্টে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়। এদের মধ্যে রয়েছে পুরুষএবংমহিলা রোগী, জানা যায় মহিলার চেয়ে পুরুষ রোগীর সংখ্যা বেশি।
এ ব্যাপারে আক্রান্ত রোগীদের কিভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) ডাঃ ওমর ফারুক – রনি, – এ উপজেলায় সুস্হ্যতার হার এযাবৎ অন্যান্ন উপজেলার তুলনায় অনেক ভালো। কারন হিসেবে জানিয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ সহ সচেতন মহলের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ শক্ত হাতে কার্যক্রম পরিচালনা করায় মানুষ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলচ্ছে, এবং অন্য জেলা থেকে আসা – যাওয়ার মানুষ গুলোকে দ্রুত সনাক্ত করে কোয়ােরেন্টাইন নিশ্চিত করনে এবং আক্রান্ত রোগীদের হোম আসোলেশনে রেখে নিয়মিত সাহস যোগিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সরকার ও স্হানীয় সকলের সার্বিক সহযোগিতা পাওয়ায় পাশাপাশি রোগীদের মনবল রাখতে পারায় এবং সৃষ্টিকর্তার সুদৃষ্টি থাকায় এ রোগে মৃত্যুর ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেনি। তরে চট্টগ্রাম রয়েল হাসপাতালের এক স্টাপ নার্স করোনা উপসর্গ নিয়ে চন্দ্রঘোনা রাইখালী ইউনিয়নের পুর্ব কোদালা দেশের বাড়িতে গেল মাসে মারা গেছেন, ওই মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয় পরবর্তী রিপোর্টে পজেটিভ আসে।