কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান বলেছেন, প্যানেল মেয়র ১ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবুর উপর হামলা পরিকল্পিত। হামলার পিছনে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হামলার নেতৃত্বদানকারী রুহুল কাদের মানিকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) কক্সবাজার পৌরসভার হলরুমে প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী মাবুর উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পৌরমেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিবাদ করার অধিকার সবার রয়েছে কিন্তু জঘন্য ঘটনা ঘটিয়ে প্রতিবাদ বা আন্দোলন করা যায় না। রাজাকার সন্তান মানিকের নেতৃত্বে প্যানেল মেয়র মাবুর উপর হামলা করা হয়েছে। মাবুদ সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিল। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও সে সততা ও নিষ্টার সাথে পালন করেছে। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত। তাদের মনে রাখা উচিত এটি বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এখানে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর কোন জায়গা হবে নেই।
মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন কক্সবাজার পৌরবাসী উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। আমি আসার পর পৌর পরিষদের সবাইকে নিয়ে কক্সপৌরসভাকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবকিছু নতুন করে সাজাচ্ছি। বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের কার্যক্রম চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রত্যক সড়কে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবে।
সড়ক উপসড়ক স্ট্রীট লাইটের আলোয় আলোকিত হবে। পৌরবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পৌর এলাকার প্রতিদিনের বর্জ্য বান করে ফেলা হচ্ছে। পৌর পরিষদ নতুন ৫০০ টমটমসহ মোট ৩ হাজার টমটম সড়কে চলাচলের অনুমোদন দেবে। বাকি ৭ হাজার টমটম চলতে দেয়া হবে না। তাছাড়া ভবিষ্যতে সড়কে কোন টমটম থাকবে না। পর্যটন শহরে অচিরেই চলাচল করবে অত্যাধুনিক গাড়ি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ২ হেলাল উদ্দিন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর, কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামশেদ, কাউন্সিলর আকতার কামাল, কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ মাঝু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।