সোমবার, আগস্ট ১৮, ২০২৫

কক্সবাজারে ১২ চিকিৎসক কোয়ারেন্টিনে, এলাকা লকডাউন

আপডেট:

চট্টগ্রাম ট্রিবিউন ডেস্ক,
কক্সবাজারে ৬০ বছর বয়সী এক নারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকাকে লকডাউন করা হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক, ছয় জন নার্স ও তিন জন ক্লিনারকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ওই নারীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমদুল্লাহ মারুফ এ লকডাউন ঘোষণা করেন। পরে লাল পতাকা ও ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, ২৪ মার্চ দুপুরে ওই নারীর করোনা পজেটিভ হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। ১৩ মার্চ তিনি ওমরাহ সমাপ্ত করে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। ১৮ মার্চ জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার জন্য ২২ মার্চ ঢাকায় আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) পাঠানো রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে। তাকে চট্টগ্রাম পাঠানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাঠনো হয়নি। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালেই আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমদুল্লাহ মারুফ জানিয়েছেন, কক্সবাজার শহরের পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী কচ্ছপিয়া পুকুর মোড় থেকে পশ্চিমে খোরশেদ ভবনের সামনে হয়ে পল্লবী লেন লকডাউন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও ওই নারী চট্টগ্রামে যে বাসায় অবস্থান করছিলেন সে বাসা এবং চকরিয়ার উপজেলার খুটাখালীর নিজ বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই নারীর সন্তান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক, ছয় জন নার্স এবং তিন জন ক্লিনারকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত