কক্সবাজার প্রতিনিধি,
নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার প্রায় সাত শত
তামাক চাষী আবুল খায়ের ট্যোবাকোর প্রতারণার ফাঁদে পড়ে কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে চাষীদের এ বিপুল অংকের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সবাই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। অনেকেই লাভের আশায় তামাক চাষে পুঁজি বিনিয়োগ করে এখন তারা সর্বশান্ত।
চাষীদের মাধ্যমে জানা গেছে ৩ মাস আগে তারা জমি মালিকদের কাছ থেকে প্রতি কানি জমি ১৫/২০ হাজার টাকা করে আগাম লাগিয়ত নিয়ে তামাকের বীজতলা তৈরী, চারা উৎপাদন, তামাক শোধনের জন্য তন্দুল নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। এ সব খাতে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। কোম্পানীর পক্ষ থেকে চাষ শুরুর পূর্বে চাষীদের মাঝে বীজ, পলিথিন ও কিটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তাদেরকে তামাক চাষে উৎসাহ যোগায়।
গত কয়েকদিন আগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা অভিযোগ করে বলেন গত ২/১দিন ধরে আবুল খায়ের কোম্পানী তামাক ক্রয় করবেনা মর্মে চাষীদের আগাম জানিয়ে দেয়ায় ওই কোম্পানীর অধিনে ৭শ তামাক চাষী এ বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় চাষীদের মাঝে চরম হতশা বিরাজ করছে।
এদিকে আবুল খায়ের টোবাকোর একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান সরকার তামাক খাতে আয়কর বৃদ্ধি করে দেয়ায় ও তাদের পণ্য বাজারে বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে তামাক চাষ বন্ধ করে দিতে তারা বাধ্য হয়েছেন।
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া গ্রামের আবুল খায়ের ট্যোবাকো কোম্পানীর রেজিষ্ট্রার্ড তামাক চাষী আমির হোসেন ও জসিম উদ্দিন জানান, তার এলাকায় ৯০ জন চাষী, গর্জনিয়া ইউনিয়নের ক্যাজর বিল গ্রামের তামাক চাষী তৈয়ব জানান তার এলাকায় প্রায় ১শ জন চাষীসহ এ উপজেলার প্রায় ৭ শ চাষী বীজতলা ও চারা উৎপাদন শেষ করে শেষ মুহুর্তে কোম্পানীর পক্ষ থেকে তামাক ক্রয় না করার আগাম ঘোষনা দেয়ায় ৭শ চাষীর প্রায় কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তারা দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। চাষীরা এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।