বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

একটাই চাওয়া, চট্টগ্রাম আবাহনীর শিরোপা

আপডেট:

চট্টগ্রাম ট্রিবিউন ডেস্কঃ
এমনিতে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ফুটবল হয় না বললেই চলে। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ অন্তত সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিচ্ছে। পাঁচ দেশের আট ক্লাবের লড়াই দেখার সুযোগ পেয়েছে চট্টলার মানুষ। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে দর্শকদের সমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ফাইনাল ঘিরে আগের সব উত্তেজনা ছাড়িয়ে গেছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার ক্লাব তেরেঙ্গানু এফসির বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে চট্টগ্রাম আবাহনী। এই ফাইনাল দেখতে বিকেল থেকে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম লোকে লোকারণ্য। সবাই এসেছেন ফাইনাল দেখতে। আর আসবেনই বা কেন, ঘরের দল চট্টগ্রাম আবাহনী যে নামছে ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে।

বিজ্ঞাপন

নিজ দলের খেলা দেখতে তাই দর্শক-সমর্থকদের প্রচণ্ড ভিড়। কেউ মাথায় চট্টগ্রাম আবাহনী লেখা ব্যান্ড জড়িয়ে এসেছেন তো, কেউ আবার ঢাক-ঢোল নিয়ে উপস্থিত স্টেডিয়ামে। সবার একটাই চাওয়া- চট্টগ্রাম আবাহনীর শিরোপা জয়। দলটির দ্বিতীয় শিরোপা জেতার উৎসবে শামিল হতে স্টেডিয়ামে এসেছেন দর্শকরা।

চট্টগ্রাম আবাহনীর শিরোপা জয়ের সাক্ষী হতে এসেছেন তারা
চট্টগ্রাম আবাহনীর শিরোপা জয়ের সাক্ষী হতে এসেছেন তারা
চট্টগ্রামের স্কুল পড়ুয়া আহনাফ আদনান সিদ্দিকী এসেছে ফাইনাল দেখতে। তার একটাই চাওয়া, আবাহনীর হাতে ট্রফি উঠুক। এই শিক্ষার্থীর বক্তব্য, ‘নিজ দলের খেলা দেখতে মাঠে এসেছি। অবশ্যই চাইব যেন দল চ্যাম্পিয়ন হয়। এমনিতেই আমি দেশের ফুটবল ফলো করি। জামাল ভূঁইয়া-সাদ উদ্দিনদের খেলা ভালো লাগে।’

বিজ্ঞাপন

তার মতোই আরেক স্কুল শিক্ষার্থী আবরার হোসেন দ্বীপ্ত সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সে রোমাঞ্চিত। সেই ধারাবাহিকতায় আবাহনীর শিরোপা জেতার সাক্ষী হতে চায়, ‘জাতীয় দল ভারতের সঙ্গে এগিয়ে থেকে ড্র করেছে। তাদের পারফরম্যান্স দেখে অনেক ভালো লেগেছে। এবার চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলাও দৃষ্টিনন্দন ছিল। তাই ফাইনালে চাইছি নিজেদের দল জিতুক।’

দামপাড়া নিবাসী তাহের মিয়া রাত জেগে নিয়মিত ইউরোপিয়ান ফুটবল দেখেন। দীর্ঘদিন পর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের মাধ্যমে দেশে ফুটবল ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে তার। চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ফুটবলের স্বাদ পেয়ে দারুণ খুশি তিনি, ‘দীর্ঘদিন পর আমি ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে গিয়েছি। বেশ ভালো লেগেছে। আমি মনে-প্রাণে চাইব যেন চট্টগ্রাম আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়। আমি সাধারণত ইউরোপিয়ান ফুটবল ফলো করি। তবে বসুন্ধরা ও আবাহনীর খেলা খারাপ লাগেনি। আগের চেয়ে তাদের খেলার মান বেড়েছে।’

খেলা শুরুর অনেক আগেই স্টেডিয়ামের সামনে দর্শকদের ভিড়।খেলা শুরুর অনেক আগেই স্টেডিয়ামের সামনে দর্শকদের ভিড়। স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মোহাম্মদ রাসেল চেয়েছিলেন গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলের খেলা দেখবেন। কিন্তু কর্ম ব্যস্ততায় তা হয়ে উঠছে না। তবে চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য থাকলো তার শুভকামনা, ‘ফাইনাল স্টেডিয়ামে বসে দেখার অনেক ইচ্ছা ছিল। কিন্তু তা পারছি কই? চাকরির কারণে মাঠে যাওয়া হচ্ছে না। তবে আবাহনী ট্রফি জিতবে, এই প্রত্যাশা রইলো।’

আয়োজকদের আশা, ফাইনালে ৩৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এমএ আজিজ স্টেডিয়াম খেলা শুরুর আগেই পূর্ণ হয়ে যাবে।
©বাংলা ট্রবিউন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত