চট্টগ্রাম ট্রিবিউন ডেস্ক,
ঈদ উদযাপনের নামে মৃত্যুর কোলে ঝাঁপ না দেওয়ার জন্য নগরবাসীর প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ ১১ মে ২০২১ইং মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীর প্রতি ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।
এ সময় তিনি বলেন রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। তাকওয়া অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণের মাস হলো এই রমজান। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদ উল ফিতরের দিনটি প্রতিটি মুসলমান নারী-পুরুষের জীবনে অশেষ তাৎপর্য ও মহিমায় অনন্য। প্রতিবছর ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে চারিদিকে সাজ সাজ রব লেগে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকার গতবছর ঈদ শপিংটাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এ বছর ব্যবসায়ীদের গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার অনুরোধে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুলে দেয়। দেখা যাচ্ছে যে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকা করছেন গবেষকগণ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের জনগনও আজ জীবন মৃত্যুর মাঝখানে দাড়িয়ে এক কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত রয়েছে। যে সংগ্রাম বেঁচে থাকার সংগ্রাম। তাই এবারের ঈদটি সমগ্র মুসলিম উম্মার কাছে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। ইতিমধ্যে দেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ছোটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ উদযাপন করতে বলেছেন। আমাদের মনে রাখতে বেঁচে থাকাটাই এখন আমাদের সবার জন্য মুখ্য। পরিবারের জন্য হলেও সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে। সকলের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। ঈদের খুশিতে বেড়াতে গিয়ে নিজের জীবনকে বিপন্ন করবেন না।
করোনা মহামারীর এ দুঃসময়ে যারা ক্ষুদ্রতম সামর্থ্য নিয়েও জনগনের পাশে দাড়িয়েছেন তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, প্রশাসন, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পেশাজীবী এবং সর্বস্তরের সমাজকর্মীদের এ দুর্যোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জনগনের পাশে দাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করেন সুজন।
তিনি ঈদের ছুটিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ওয়াসাসহ সকল সেবা সংস্থাসমূহকে নগরবাসীর নাগরিক সেবাসমূহ স্বাভাবিক রাখার উদাত্ত আহবান জানান।