রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫

আবুল আলম ডাকাতের কিছু অজানা তথ্য

আপডেট:

সিটি ডেস্কঃ
ডাকাত আবুল আলম তার ভাই শাহ আলম সহ প্রায় ১০০ জন সদস্য নিয়ে টেকনাফে একটি ইয়াবা ব্যবসা,অপহরণ ও ডাকাতের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তাদের এহেন কর্মকাণ্ড দিন দিন বড় আকার ধারন করতেছে। তারা রঙিখালী, হ্নীলা, টেকনাফ এর স্হায়ী বাসিন্দা।

আবুল আলম ডাকাতের কিছু অপরাধ নিচে উল্লেখ করা হলো।

বিজ্ঞাপন

১।আবুল আলম বাহিনীর অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়।নিম্নোক্তে তুলে ধরা হল। রঙিখালী (৭ নং ওয়ার্ডের)আলীখালীর নুরুল আলম (অদাইয়াকে)অপহরণের ২০ দিন পর ২২লাখ টাকা,জুম্মা পাড়ার মোহাম্মদ আলমকে অপহরণের ৮ দিন পর ১০ লাখ টাকা,জুম্মা পাড়ার আবছারকে অপহরণের ৫ দিন পর ৫ লাখ টাকা,রঙিখালীর দেলোয়ারকে ডাকাতি ৬ লাখ টাকা,জুম্মা পাড়ার জাফর আলমকে অপহরণের ৩ দিন পর ২ লাখ টাকা, উলুচামরীর জিয়াউল রহমানকে অপহরণের ১০ দিন পর ৫ লাখ টাকা, মৌচনী ক্যাম্পের রোহিঙ্গার ছেলে অপহরণের ৭ দিন পর ৫ লাখ টাকা,লেদা ক্যাম্পের রোহিঙ্গার ছেলে অপহরণের ৫ দিন পর ৫ লাখ টাকা এবং বড়ডেইল বাহারছড়ার মনির উদ্দিনকে অপহরণের ৮ দিন পর ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছাড়ে।

২।আবুল আলম বাহিনীর জমি দখল:
মৌলভী রশিদ,মৌলভী ইব্রাহিম,হেলাল উদ্দিন,ইমাম হোছেন,দিলু মেম্বার,শফিক মেম্বার,নুরুল আলম,ছৈয়দ হোসাইন ছকিনা মেম্বার,দেলোয়ারের এবং আমির হোছনদের জমি জোরপূর্বক দখল করে বলে জানায়।

বিজ্ঞাপন

৩।আবুল আলম বাহিনীর খুন ও হত্যাকান্ড:
এ বাহিনী বিভিন্ন সময়ে চুক্তিভিত্তিক ও ডাকাতি করার জন্য অনেক লোককে গুলি করে মেরে ফেলে এবং পংগু করে ফেলে। তাদের নাম সমূহ :শফিক মেম্বারকে গুলি করে হত্যা,ইলিয়াসকে পায়ে গুলি করে পংগু,রশিদ উল্লাহকে পাহাড়ে জবাই করে হত্যা,রহিম উল্লাহকে গুম,শামশুল হুদাকে হত্যা, জসিম উদ্দিনকে অপহরণ করে হত্যা এবং হুমায়ুনকে গুলি করে মারাত্মক আহত করে আবুল আলম বাহিনী।২০১৩ সালে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের উপরও আক্রমণ করেছিল রঙিখালীতে।

৪।আবুল আলম বাহিনীর সদস্যদের অহরহ মামলা রয়েছে নিম্নে কয়েকটি তুলে ধরা হল:
মামলা নং-৫২৭,জি আর,রুজু তারিখ ২০২০।মামলা নং-৫৫২ জি আর,২০১৩ মামল নং-১১,জি.আর ২৩৭, তারিখ:০৫/০৪/২০১৫।মামলা নং-৭৬,জি.আর ৩০২,২৫/০৪/২০১৫।মামলা নং-১০,জি.আর ৬৪৫।মামলা নং-৪৫(৪),২৫/০৬/১২।মামলা নং-৪৭(৪),২২/০৭/১৩।মামলা নং-৬৪(১১),৩০/০৪/১৩।মামলা নং-৬৩(১১),২২/০৯/১২।মামলা নং-৬৪(১১),২৩/০৬/২০১৩।জি আর,৩৯৬,২০২০।জি আর ৩৯৮,২০২০।জি.আর ১০১৮,২০১৯।জি.আর,১০৮৯,২০১৯।জি.আর১০৮২,২০১৯.. ইত্যাদি।অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যাসহ আরও বহু মামলা রয়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

ডাকাত আবুল আলম তার ভাই শাহ আলম সহ প্রায় ১০০ জন সদস্য নিয়ে টেকনাফে একটি ইয়াবা ব্যবসা,অপহরণ ও ডাকাতের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে স্হানীয় সুত্রে জানা যায় সূত্রে জানা যায়।

এ বাহিনীর কয়েক জনের নাম সমূহঃ আবুল আলম, শাহ আলম,নুরুল হুদা প্রকাশ উদুইল্যা,নুরুল বশর,আব্দু শুক্কুর প্রকাশ শিয়াইল্যা,জাকির হোসেন,ফরিদ আলম,এবং কালো ইত্যাদি।

এ আবুল আলম বাহিনীর খুঁটির জোর কোথায়? গোপন সূত্রে জানা গেছে আবুল আলমের বেয়াইন (তালত) হামিদ ডাকাত ও শাহ আলম ডাকাতের বেয়াইন (তালত) আবুল হোসেন মেম্বার উপর্যুক্ত বাহিনীর অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ আসছে ও ডাকাতদের আশ্রয় দাতা বলে জানা যায়।আবুল হোসেন মেম্বার হামিদ ডাকাত ও পুলিশের ক্রসফায়ার হওয়া শুনা মিয়ার বড় ভাই এবং যার নেতৃত্বে উলুচামরী কোনা পাড়ার নুরুল বশরের পা কেটে নিয়েছিল।যে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করে।

এমতাবস্থায় প্রতিকারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তাদের এমন বেপরোয়া কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের অতিসত্বর গ্রেফতারের দাবি জানান রঙিখালী(০৭নং ওয়ার্ড) এর সর্বস্তরের জনগণ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

সর্বাধিক পঠিত